ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শহীদ স্মৃতি পার্কের নিরাপত্তা প্রাচীরের লোহার গ্রিল চুরি

প্রকাশনার সময়: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:০৫

বিজয় দিবসের আগ মুহুর্তে নীলফামীর সৈয়দপুর রেলওয়ে শহীদ স্মৃতি পার্কের নিরাপত্তা প্রাচীরের লোহার গ্রিল ভেঙে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গত দুই দিন আগে গভীর রাতে ওই ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। এছাড়াও শহীদ মিনারসহ পুরো এলাকা ঘষামাজা করে রং করা হলেও দেয়ালটি করা হয়নি সংস্কার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে শহীদ স্মৃতি পার্কের নিরাপত্তা প্রাচীরের পূর্বপাশের বেশ কিছু অংশ ভাঙ্গা। নেই প্রাচীরের উপরের অংশের দেয়ালেত লোহার গ্রিল। ভাঙ্গা অংশ দিয়ে ভিতরে ঢুকে অনেকেই করছে মাদক সেবন। প্রাচীরের যে অংশটুকু ভেঙে ফেলা হয়েছে তার সামনেই রয়েছে বেশ কিছু দোকানপাট।

স্থানীয় দোকানদাররা জানান, কয়েকদিন আগে রেলওয়ে কারখানা থেকে মেরামত করা বগি এখানে রাখা ছিলো। কে বা কারা দেয়ালটি ভেঙেছে তা দেখেননি তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৮৬৫ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা স্থাপিত হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে রেলওয়ের বহু কর্মকর্তা-কর্মচারী শহীদ হন। তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দশমিক সাত একর জমিতে গড়ে তোলা হয় শহীদ মিনার ও শিশুপার্ক।

পরবর্তীতে ২০০৯ সালে এটি সংস্কার করা হয়। এর চারপাশে দেওয়া প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতার নিরাপত্তা প্রাচীর। যাতে কেউ ভিতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য এই প্রাচীরের উপরের অংশে প্রায় তিন ফুট উচ্চতার লোহার গ্রিল দেওয়া হয়।

এদিকে মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয় রেলওয়ের যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁদের নামের স্মৃতিফলক স্থাপন করে এর নামকরণ করা হয় শহীদ স্মৃতিপার্ক। প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে রেলওয়ে প্রশাসনসহ স্থানীয়রা এখানকার শহীদ বেদী ও স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানায়। এটির প্রধান ফটকের চাবি থাকে আকতার হোসেন নামের একজন রেলওয়ে কর্মচারীর কাছে আর নিরাপত্তাসহ সার্বিক দায়িত্ব স্থানীয় রেলওয়ের স্থাপনা বিভাগের।

সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) শরিফুল ইসলাম জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রেলওয়ে শহীদ স্মৃতি পার্কের লোহার গ্রিল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্পর্শকাতর। কে বা কারা এটি করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিজয় দিবসের আগেই ভেঙে ফেলা অংশ দ্রুত সংস্কার করা হবে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ