টাঙ্গাইলে বাসা ভাড়া পরিশোধের পরও এক কলেজছাত্রীকে জিম্মি করার অভিযোগ উঠেছে বাসার মালিকের বিরুদ্ধে। পরে ওই ছাত্রী জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইল পৌরসভার বেতকার মুন্সিপাড়ার কামরুল হাসান দশ মাসের ভাড়া দাবি করে ওই ছাত্রীকে বাসায় জিম্মি করে রাখে।
ওই কলেজছাত্রীর নাম তাসলিমা আক্তার। তিনি সরকারি কুমুদিনী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার বেতকা মুন্সিপাড়া কাউন্সিলর মোর্শেদের বাসা সংলগ্ন কামরুল হাসান ঠান্ডুর বাসায় গত চার মাস আগে মেস ভাড়া নেন কুমুদিনী কলেজের ওই শিক্ষার্থী। পরে তিনি চলতি মাসের ভাড়া পরিশোধ করে বাসা ছেড়ে দেয়ার কথা জানায় মালিককে।
কিন্তু এক মাসের ভাড়া অতিরিক্ত দিলেও বাসার মালিক অগ্রীম আরও দশ মাসের ভাড়া অতিরিক্ত দাবি করে ওই ছাত্রীকে জিম্মি করে রাখে। এসময় তাকে হুমকি ও অশ্লীল ভাষায় বকাবকি করে বাসার মালিক।
পরে ওই শিক্ষার্থী জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে টাঙ্গাইল সদর থানার এএসআই আয়নুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। বাসার মালিক কামরুল হাসান ঠান্ডু বলেন, ‘বাসা ছেড়ে দিলেও দশ মাসের ভাড়া বাড়তি দিতে হবে। না হলে নতুন ভাড়াটিয়া খুঁজতে দেরি হবে। আইন টাইন বুঝি না আমাকে বাড়তি টাকা দিয়ে ওই ছাত্রীকে বাসা ছাড়তে হবে।’
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার এএসআই আয়নুল ইসলাম বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তবে বাসার মালিক কামরুল হাসান উগ্র প্রকৃতির মানুষ। ওই ছাত্রীকে জিম্মি করে বাড়তি টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন তিনি।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ