ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

লালমোহনে এক বছরেও মেরামত হয়নি কালভার্ট

প্রকাশনার সময়: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:১১

ভোলার লালমোহনে একটি কালভার্ট সংস্কারের অভাবে চার গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দীর্ঘদিনেও তা মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ না করায় বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। তাই বাধ্য হয়ে হেটে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারী ও এলাকাবাসীকে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। তবে বেশি সমস্যায় পড়ছে পণ্যবাহী ছোট ছোট যানবাহন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কালভার্টি মেরামতেরর বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বার বার বলার পরেও কোন কাজ হয়নি। ১০/১৫ বছর আগে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। এক বছর পূর্বে মালামাল নিয়ে পার হতে গিয়ে কালভার্টটি ভেঙ্গে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের সৈনিক বাজার থেকে দেওয়ান কান্দি সড়কের উত্তর ইলিশা কান্দি গ্রামের মাথায় কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। এটি রায়পুরা কান্দি, গনেশপুরা কান্দি, দেওয়ান কান্দি ও উত্তর ইলিশা কান্দি এ চার গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা।

কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে কালভার্টটি নাজুক অবস্থা পড়ে রয়েছে। ভারী যানবাহনের চাপে এক বছর আগে এটি ভেঙ্গে যায়। এরপর সেটি আর মেরামত করা হয়নি। এই সড়ক দিয়েই স্কুল, কলেজ ও পথচারিরা চলাচল করলেও কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ায় তাদের যাতায়াত করতে কষ্ট হচ্ছে। মাঝে মধ্যে পানিতে ডুবে থাকে রাস্তাটি।

ইলিশা কান্দির বাসিন্দা মাদ্রাসা শিক্ষক মোশারেফ হোসেন জানান, কালভার্ট এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা। কিন্তু সেটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এই সড়ক দিয়ে কোন যানবাহন চলতে পারছে না। বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ধান, চাল বা অন্য পণ্যবাহী পরিবহন।

উত্তর ইলিশা কান্দির বাসিন্দা মো: সাগর, দেওয়ান কান্দির বাসিন্দা রিপন ও ইলিশা কান্দির বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম জানান, কালভার্টটি চারটি গ্রামের মানুষ সংযোগস্থল। এ পথ দিয়ে এলাকাবাসী যাতায়াত করে। রিক্সা, সাইকেল, অটোরিক্সা ও ভ্যান চলাচল করতো। তবে কালভার্টটি ভাঙ্গা থাকায় তাদের অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হয়। এটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।

পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য তছির আহমেদ জানান, কালভার্টটির কারণে জনগন অনেক ভোগান্তি পোহাচ্ছে, এটি ইউনিয়ন পরিষদকে জানানো হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

এ ব্যাপারে লালমোজন উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী বিল্লাল হোসেন বলেন, এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ওই স্থানে খুব শিগগিরই নতুন করে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এটি নির্মাণ হলে মানুষের ভোগান্তি থাকবে না।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ