ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তাড়াশে অবৈধ পুকুর খননে বিপাকে কৃষক

প্রকাশনার সময়: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:০৯

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় অনুমোদন ছাড়াই মাছ চাষের জন্য ফসলি জমিতে ইচ্ছেমতো পুকুর খনন করা হচ্ছে। এতে ক্রমেই কমছে চাষের জমি। পাশাপাশি প্রাকৃতিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। এতে ফসলি মাঠগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক।

এ বিষয়ে উপজেলার নওগাঁ ইউনিনের চৌপাকিয়া, মাটিয়া ও মালিপাড়া গ্রামের ৩শতাধিক ভুক্তভোগী কৃষকেরা প্রতিকার চেয়ে তাড়াশ উপজেলা নিবার্হী অফিসারসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নওগাঁ ইউনিয়নের চৌপাকিয়া, মাটিয়া ও মালিপাড়া গ্রামের মৌজায় প্রতিটা কৃষকের নিজস্ব আবাদি জমি রয়েছে। কৃষকেরা জমিগুলো চাষাবাদ করে সংসার খরচ যোগান দেন। এছাড়া এই তিন গ্রামের ফসলি মাঠে পানি প্রবাহের পথ মাজার রোডের মাটিয়া গ্রামের পুকুরপাড়ে পাশে একটি ব্রীজ রয়েছে। কিন্ত বিগত বছর থেকে মালিপাড়া গ্রামের শাহিনুর ইসলাম সুরুজ, বেশ কয়েকটি পুকুর খনন করায় ব্রীজে মুখ বন্ধ হয়ে ফসলি জমিগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে একই এলাকার মৃত ওজগার আলীর ছেলে শওকত আলী ব্রীজ সংলগ্ন অবৈধভাবে পুকুর খনন শুরু করেছে। এখন খনন কাজ বন্ধ না করলে এই তিন গ্রামের কৃষকের প্রায় ৫শতাধিক আবাদি জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। এতে কৃষকেরা পথের ফকির হয়ে যাবে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে এই প্রবণতা বেড়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ৩হাজার পুকুর খনন করা হয়েছে তবে সম্পূর্ণ পুকুর বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলছে পুকুর খননের মহোৎসব। আর পুকুর খননের মাটি ট্রলিতে করে পার্শ্ববর্তী ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। ভারী যান চলাচলের কারণে সড়কের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। গাড়ি থেকে কাদামাটি রাস্তায় পড়ে কর্দমাক্ত হয়ে যাচ্ছে।

মালিপাড়া গ্রামের জব্বার আলী, আব্দুল লতিফ, জয়নাল আলীসহ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে বিলে পুকুর খননের হিড়িক পড়ে গেছে। পুকুর মালিকেরা সাধারণ চাষিদের বাধ্য করছেন জমি বিক্রি করতে। এখন অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ না করলে আমাদের মতো কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোছা. লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘কৃষকদের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ