সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চলনবিল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামের এক এনজিও’র ৩ ভুয়া কর্মকর্তাকে বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিনের সহযোগীতায় আটক করেছে থানা পুলিশ। রোববার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান স্থানীয় এলাকাবাসীসহ ভুক্তভোগীদের সাথে নিয়ে ৩ কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
আটককৃতরা হলেন, বরিশাল জেলার উজিরপুর পৌর শহরের আবু হোসেনের ছেলে এসএম মনিরুজ্জামান, গাজীপুর জেলা শহরের দক্ষিণ খাইলকুরের রমেশ চন্দ্র সরকারের ছেলে সুজন চন্দ্র সরকার, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার আব্দুল বারেকের ছেলে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. মাসুদ মিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলনবিল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামের এনজিও তাদের প্রধান কার্যালয় ঠুলঠুলিয়া, ডেমরা-ঢাকা ও গভ: রেজি: নং-৬০৫৭(৩০১)/২০০৫ ইং দেখিয়ে এবং চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামে অফিস ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
এনজিও চলনবিল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি প্রথম স্থানীয় বেকার ২২ জনের কাছ থেকে ২২০০ টাকা করে মোট ৪৮ হাজার ৪ শত টাকা নিয়ে মাঠকর্মী নিয়োগ দেয়। পরে তাদের নিয়োগ দেয়া মাঠকর্মীদের দিয়ে বাদাঘাট ও উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম থেকে প্রায় ৪শতাধিক দরিদ্র পরিবারেরকে বিনামূল্যে রেশন, ঋণ দেয়াসহ বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে প্রথমে সদস্য ভর্তি ফরম বাবদ ১৩০টাকা করে এবং অর্ধেক মূল্যে রেশন দেয়ার নামে আরো ২৮ জনের কাছ থেকে ১হাজার করে জামানতের টাকা হাতিয়ে নেয় এনজিওটি।
মাঠকর্মীদের গত বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের কর্মকর্তাদের আচার আচরণ সন্ধেহ হয়, পরে মাঠকর্মী ও ভুক্তভোগীরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিনকে জানালে রোববার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান স্থানীয় এলাকাবাসীসহ ভুক্তভোগীদের সাথে নিয়ে ৩ কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের সাথে নিয়ে এনজিও কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে গেলে তাদের কথা-বার্তায় সন্দেহ হয়। পরে তাদের ৩কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশে দেই।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ভুয়া সন্দেহে আটককৃতদের থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।’
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ