রেলপথ মন্ত্রী নূরল ইসলাম সুজন বলেছেন, আগামী বছর পদ্মাসেতুতে রেল যোগাযোগ চালু হওয়ার পাশাপাশি ২০২৪ সালের মধ্যে যমুনা নদীর উপরে ডুয়েলগেজ বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় রেল সেতুও চালু হবে।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে নীলফামারী সদর উপজেলার মনসাপাড়া বউবাজারে দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, ‘দুটি পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। আমি তাদের কিছুই দিতে পারবো না, সমবেদনা ছাড়া।’

মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর গ্রামীন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন নতুন সড়ক পথ নির্মান করছে। এতে অনেক স্থানে লেভেল ক্রসিং এ প্রতিবন্ধক ও গেটম্যান নেই। এই বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের। এ কারণে রেললাইন পারাপারে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।’

মন্ত্রী আরও বলেন, নতুন যেসব রেলপথ হচ্ছে সেখানে আন্ডারপাস ওভারপাস করতেছি কিন্তু যেগুলো পুরোনো সেগুলোতে সম্ভব নয়। এ কারণে গ্রামে গ্রামে রেললাইনের যে এলাকায় ক্রসিং দরকার সেগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় করবে এ নিয়ে স্থানীয় সরকারের সাথে আমরা কথা বলছি।

এ সময় নিহত তিন শিশুর বাবা রেজওয়ান ও সাহসি যুবক শামীমের স্ত্রী সুমাইয়া আকতারকে রেলে চাকুরীর আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী নূরল ইসলাম সুজনের পক্ষ থেকে রেজওয়ানকে ৫০হাজার এবং শামীমের স্ত্রী সুমাইয়া আখতারকে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেজওয়ানের পরিবারকে ২৫হাজার এবং শামীমের পরিবারকে ২০হাজার টাকার চেক দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তারুজ্জামান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৮ডিসেম্বর খুলনা মেইল ট্রেনে কাটা পরে একই পরিবারের ৩ ভাই-বোন ও উদ্ধারকারী এক যুবক মারা যায়।

নয়া শতাব্দী/জেআই