অর্থনৈতিক জোন হিসেবে সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রার উন্নয়ন কাজ। এই বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভাবে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই এগিয়ে চলছে এর কার্যক্রম। এরই মাঝে উন্নয়ন কাজের অগ্রগতির মাধ্যমে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিত বন্দরের প্রথম জেটিতে অত্যাধুনিক মোবাইল হারবার ক্রেনের মাধ্যমে পণ্য খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই বন্দর থেকে ইতোমধ্যেই ৩৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় পণ্য আমদানি-রফতানির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিল্পায়ন ও বাণিজ্যে ব্যাপক প্রসার ঘটতে শুরু করেছে।
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় অবকাঠামো নির্মাণ কাজের মধ্যদিয়ে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট বন্দরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। এরপরই বন্দরের জেটিতে স্থাপিত হারবার ক্রেনের মাধ্যমে শুরু হয় মাদার ভ্যাসেল (পণ্যবাহী জাহাজ) থেকে পণ্য খালাসের কার্যক্রম। এই বন্দর থেকে রেল এবং সড়কপথে স্বল্প খরচে এবং দ্রুত সময়ে পণ্য দেশের যেকোনো প্রান্তে এবং পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোতেও পৌঁছানোর সম্ভাব্যতায় ব্যবসায়ীদের কাছেও এখন এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্দরের। তবে বাণিজ্যিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করনের মাধ্যমে বর্তমানে দেশের সকল ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করার দাবি উঠেছে ব্যবসায়ী সংগঠন গুলোর।
পায়রা বন্দর প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. নাসীর উদ্দিন জানান, বন্দরের প্রশাসনিক চত্বরে একটি অত্যাধুনিক জেটি ও ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শেষে রাবনাবাদ নদের মোহনা ঘেঁষা লালুয়ার চান্দুপাড়ায় পণ্য খালাসের জন্য অত্যাধুনিক টার্মিনাল নির্মাণ কাজ প্রায় ২৭ ভাগ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের জুন মাসে পায়রা বন্দর চালু করার কথা জানান এই কর্মকর্তা।
বন্দর প্রশাসন পরিচালক মহিউদ্দিন আহম্মেদ খান জানান, পায়রা বন্দরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমে দক্ষিণাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়ন চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করেছে। বন্দর উন্নয়নে সরকারের মহাপরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে অবকাঠামোর প্রাথমিক কাজ শেষ হওয়ার পরই পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু হবে বলে জানান তিনি।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ