কক্সবাজারের রামুতে ‘অপহরণ হওয়া’ সেই চার স্কুলছাত্রের তিনজনকে উদ্ধার করেছে র্যাব। তবে এখনো মিজানুর রহমান নামের এক ছাত্র নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে পাহাড় চষে বেড়াচ্ছে র্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবির এর পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ছাত্ররা হলো- মো. কায়সার হামিদ, মিজানুর রহমান নয়ন ও জাহিদুল ইসলাম মামুন। এছাড়া এখনো নিখোঁজ শিক্ষার্থী মিজানকে উদ্ধারে আশপাশের পাহাড়গুলোতে র্যাব, আর্মড পুলিশ ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকায় এখনো এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এপিবিন ১৬ এর অধিনায়ক নাইমুল হক বলেন, ছাত্রদের উদ্ধার অভিযানে নামার আগে আমরা তিন রোহিঙ্গাকে এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক করি। পরে তাদের দেয়া তথ্যে পাহাড়ে যৌথ অভিযান শুরু করি
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুস সালাম চৌধুরী বলেন, উদ্ধার অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। আশা করছি দ্রুত অন্যজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
এর আগে বুধবার রাতে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহেদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানের নিখোঁজের অভিযোগ করেন স্বজনরা। তাদের মধ্যে জাহেদুল সোনারপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ও বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
অভিযোগে বলা হয়, কক্সবাজারের রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় চার স্কুলছাত্রের। ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যাং এলাকায় নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে তাদের খোঁজ মিলছে না।
স্বজনদের অভিযোগ, নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর ৮ ডিসেম্বর দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আর তা না পেলে মরদেহ ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হয়।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ