ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তিযুদ্ধে দাদার শহীদ হওয়ার গল্প শুনলেন নাতীরা

প্রকাশনার সময়: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ২৩:০২

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার লুৎফর রহমান। দাদার মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধে কীভাবে শহীদ হয়েছেন সেই গল্প শুনলেন দুই নাতি রাহিল বিন রওশন ও রাফান বিন রওশন। আর এই গল্প শুনালেন যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বেঁচে যাওয়া আনোয়ার হোসেন বুলু।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের ভাতিজা রওশন বলেন, তার জমজ দুই ছেলে বর্তমানে খাস নওগাঁ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়া-লেখা করছে। একজনের নাম রাহিল বিন রওশন এবং অন্যজন রাফান বিন রওশন। ক্ষুদে এই দুই শিক্ষার্থীরা মাঝে মধ্যেই বলতেন কীভাবে দাদা লুৎফর রহমান যুদ্ধ করেছেন এবং কোথায় শহীদ হয়েছেন। এমন প্রশ্ন বার বার ছুড়ে দিতেন বাবা রওশনের প্রতি। শেষ পর্যন্ত লুৎফর রহমানের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলুর সঙ্গে দেখা করে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনাতে অনুরোধ করেন।

ছোট শিশুদের এমন আগ্রহ দেখে আনোয়ার হোসেন বুলুও দ্রুত চলে আসেন গল্প শুনাতে। স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন এবং সহযোদ্ধা আত্রাই উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ও শেখ মো: আনিছুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে সেদিনের যুদ্ধস্থল রাণীনগর থানার উত্তর দিকে দরিয়াপুর মাঠে পৌঁছেন।

সেখানেই দুই নাতিকে দেখান কোথায় পাক বাহিনীর গুলির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পরেছিলেন এবং শহীদ হয়েছিলেন। এসময় কীভাবে যুদ্ধ করেছিলেন লুৎফর রহমান এমন গল্প শোনান।

শহীদ লুৎফর রহমান নওগাঁ সদর উপজেলার গাংজোয়ার গ্রামের হাজী রমজান আলীর ছেলে।

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর রাণীনগর উপজেলায় ৩৭ ঘণ্টা সম্মুখ যুদ্ধ হয়। ওই সম্মুখ যুদ্ধে রাণীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একমাত্র লুৎফর রহমান পাক-হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন এবং ওই দিনই হানাদার মুক্ত হয় রাণীনগর উপজেলা।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ