ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইন্সপেক্টর বললেন ‘আমার সাথে প্রেম করবা’

প্রকাশনার সময়: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৫০

নাম্বার দিয়ে কি আমার সাথে প্রেম করবা, পুলিশের দায়িত্বশীল একজন ইন্সপেক্টরের এমন কথায় বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়েন থানায় অভিযোগ নিয়ে আসা এক নারী।

ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম শারমিন সুলতানা পতুল। সে কিশোরগঞ্জ সরকারি গুরুদয়াল কলেজের এমএ ফাইনাল বর্ষের ছাত্রী এবং ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আব্দুল হাসিমের কন্যা।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ভৈরব থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত তারিকুল আলম জুয়েলের অফিস কক্ষে ওই নারী ইন্সপেক্টর তদন্তের ফোন নাম্বার চাইলে এ ঘটনা ঘটে।

শারমিন সুলতানা জানান, উপজেলার আগানগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বড় বোন পারভীন সুলতানা ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসেবে মঙ্গলবার প্রতীক পাওয়ার পর তার নিজ এলাকা আগানগরে নির্বাচনী প্রচারণা চালায়। এসময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম হিরা ও তাঁর সমর্থকরা প্রচারণায় বাধা দেয় এবং তাদের উপর হামলা করেন।

বিষয়টি ভৈরব থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির শিকার হন তিনি।

শারমিন জানান, ইন্সপেক্টর তদন্তর অফিস কক্ষে তাদের অভিযোগটি দেখানোর পর কয়েকটি শব্দ পরিবর্তন করার কথা বললে তাঁর বড় বোন পারভীন সুলতানা পতুলকে সাথে নিয়ে পাশের কম্পিউটারে যেতে চাইলে ইন্সপেক্টর তদন্ত পতুলকে বসতে বলেন। পতুলকে রেখে তার বড় বোন তখন কম্পিউটারের দোকানে যায়।

তখন ওই ইন্সপেক্টরের কক্ষে বসে থাকা শারমিন পরবর্তীতে নিরাপত্তার আশায় ইন্সপেক্টর তদন্ত তারিকুল আলম জুয়েলের মোবাইল নাম্বার চাইলে ইন্সপেক্টর তারিকুল এমন বিব্রতকর আচরণ করেন।

একজন দায়িত্বশীল অফিসারের এমন বেফাঁস আচরণে হতভম্ব হয়ে যান ওই নারী।

এসময় তিনি তদন্ত তারিকুল আলম জুয়েলের কথার প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদের একপর্যায়ে বড়বোন পারভীন ও তার কাজিন আনোয়ার এসে পতুলকে নিয়ে থানা থেকে বেরিয়ে যান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন এবং ভিডিও বক্তব্যে ঘটনার বর্ণনা দেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভৈরব থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত তারিকুল আলম জুয়েলের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি অভিযোগ নিয়ে আজ সকালে তার রুমে আসেন ওই মেয়ে ও তার বড় বোন।

তিনি বলেন, তাদের অভিযোগ গ্রহণ করেছি। মেয়েটির সাথে কথা হয়েছে আমার। তবে এমন বেফাঁস কথা বলেননি বলে দাবি তার।

এসময় তিনি বলেন, দেশের অবস্থা ভালো না এখন, এটা মান-ইজ্জতের প্রশ্ন ভাই। অন্য কাউকে যেন না জানানো হয় সেজন্য এ প্রতিনিধিকে তিনি অনুরোধও করেন।

এঘটনায় অভিযুক্ত ইন্সপেক্টর তারিকুল আলম ভূক্তভোগী ওই নারী ও তাঁর বড়বোনের সাথে ফোনে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ