রাজশাহী নগরীতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে প্রায় ৬৩ হাজার শিশুকে। রাজশাহী মহানগরীতে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পের মাধ্যমে ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (এক লক্ষ আই.ইউ) ৭ হাজার ৯৬৭ জন শিশুকে এবং ১২-৫৯ (দুই লক্ষ আই.ইউ) মাস বয়সী ৫৪ হাজার ৯৯৩ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
নগরীতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ চারদিনব্যাপী চলবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরভবনের সিটিহল সভাকক্ষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
রাসিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য রক্ষা ব্যবস্থা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকুর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্যানেল মেয়র সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সবল রাখতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের কোনও বিকল্প নাই। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর জন্য নিরাপদ। শিশুর অন্ধত্ব থেকে রক্ষা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ‘এ’ অপরিহার্য। কোন শিশু যেন ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর সরকারি এ কার্যক্রম থেকে বাদ না পড়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন সেই উদ্দেশ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় রয়েছে অনেক সাফল্য। সরকারি এ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে। অতীতের ন্যায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য সেবায় সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন। মহানগরীতে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বিষয়ে সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম।
সভায় ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, রাজশাহী মহানগরীতে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পের মাধ্যমে ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরও জানান, রাজশাহী মহানগরীতে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২য় রাউন্ড সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নে ৩৮৪টি কেন্দ্রে ৭৬৮জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্র সকাল ৮টা হতে ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা, মাইকিং, মসজিদে জুম্মার নামাজের পূর্বে মসজিদের ইমাম/খতিবের মাধ্যমে মুসল্লিদের অবহিতকরণ এবং অন্যান্য উপাসনালয়ের মাধ্যমেও একই বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ