স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও ময়মনসিংহের গৌরীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সুধীর বড়ুয়ার কবর বা স্মৃতি সৌধটি অবহেলা ও অযত্নে পড়ে রয়েছে। বর্তমানে সঠিক রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরের চারপাশে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি চারপাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকান পাঠ।
বর্তমান নতুন প্রজন্ম জানেই না এই বীর সেনানীর বীরত্ব গাথা গল্পের কাহিনী। শুধু স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও শহীদ দিবস এলেই এ বীর সেনানীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।
৯ ডিসেম্বর গৌরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ মুক্ত দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সুধীর বড়ুয়ার শাহাদাৎ দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে গৌরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ ও তার আশপাশ এলাকা থেকে পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার ও আলবদরদের পরাজিত করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঐতিহাসিক শ্যামগঞ্জ রেলওয়ের মাঠে স্বাধীন বাংলার লাল সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন।
তৎকালীন নেত্রকোণা মহকুমা ও ময়মনসিংহ জেলার সংযোগস্থল শ্যামগঞ্জ ও এর আশপাশ এলাকা যখন পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়ে বিজয়ের ঠিক আগ মুহুর্তে একদল পাকিস্তানি সৈন্যের ব্রাশফায়ারে নির্মমভাবে নিহত হন তৎকালীন ইপিআর হাবিলদার সুধীর বড়ুয়া।
তার এই বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর বীরবিক্রম উপাধিতে ভূষিত করেন।
পরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় তার স্মৃতিতে একটি সৌধ নির্মাণ করা হয়। প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা সুধীর বড়ুয়ার স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ