আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের গ্রামের বাড়িতে বিরাজ করছে নিস্তব্ধতা।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার পর থেকে ফরিদপুরে সালথা উপজেলার রাঙ্গাবাড়ি গ্রামের বাড়িতে থাকা স্বজনরা কারো সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। বাড়িতে রাসেলের বাবা-মা ও ছোট ভাই বসবাস করেন।
তবে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মেহেদী হাসান রাসেলের বাবা মো. রুহুল আমিন মোবাইলে বলেন, রায় নিয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শুধু এতটুকু বলব, আমার ছেলে সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। আপিলের বিষয়ে পরে জানানো হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, মেহেদী হাসান রাসেলের গ্রামের বাড়িতে তার বাবা-মা ও ছোট ভাই থাকেন। রাসেলের বাবা রুহুল আমিন সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। ছোটকাল থেকেই রাসেল মেধাবী ছাত্র।
তিনি আরও বলেন, জঘন্যতম এ ঘটনার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
এর আগে বুধবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় আদালত ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এর পাশাপাশি যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ