মুজিব জন্ম শতবার্ষিকী, মহান বিজয় দিবস ও পটুয়াখালী পাক হানাদার বাহীনী মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পটুয়াখালীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী ১ আসনের সাংসদ মোঃ শাহাজাহান মিঞা। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিতে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী ২ আসনের সাংসদ আসম ফিরোজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান, পটুয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ গোলাম সরোয়ার, পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ সহ, জেলা প্রশাসন , পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ৩ টায় লাউকাঠি নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা শুরু হয়। পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট থেকে শুরু করে পটুয়াখালী সেতু পর্যন্ত মোট তিন কিলোমিটার নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলার মোট ছয়টি দল অংশগ্রহণ করে। এসময় লাউকাঠী নদীর দুই পারে একনজর নৌকা বাইচ দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে।
নৌকা বাইচ উপভোগ করতে আসা সৈয়দ নাসিম বলেন, নৌকা বাইচ আমাদের বাঙ্গালির ঐতিহ্য। এ নৌকা বাইচ আজ বিলুপ্তির পথে। হাজার বছরের এ ঐতিহ্য ধরে রাখা প্রয়োজন আমাদের সকলের।
নৌকা বাইচ দেখতে আসা আর এক দর্শনার্থী শীলা দাশ জানান, ছোট বেলায় দেখেছি নৌকা বাইচ হতো আমাদের নদী গুলোতে। সময়ের সাথে সাথে তা হারিয়ে যেতে বসেছে। করোনা মহামারির আগে পটুয়াখালীতে আরো দুই থেকে একবার নৌকা বাইচ দেখেছি। তবে এতো বড়ো আয়োজন হয়নি। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে এধরনের আয়োজন আমাদের ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধ করবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে নিজেদের ঐতিহ্য পৌঁছে দিতে এমন আয়োজন বেশি বেশি করা প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক মো কামাল হোসেন জানান, বিজয়ের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দিতে এ নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়েছে।
পরে আনুষ্ঠিকভাবে বিজয়ী মাগুরার টাইগার দল প্রথম স্থান অধিকার করায় ১২৫ সিসি মটরসাইকেল উপহার দেয়া হয়।
এছাড়াও দ্বিতীয় স্থান পাওয়া মায়ের দোয়া দলকে একটি এলইডি টিভি এবং তৃতীয় স্থান পাওয়ায় মা শীতলা বাইচ দলকে ফ্রীজ পুরস্কার দেয়া হয়।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ