দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে হাতি হত্যার ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ছায়া তদন্ত শুরু করেছে ৩৩টি পরিবেশবাদি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত 'বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট'।
ছায়া তদন্তের অংশ হিসেবে জোটনেতা ও সেভ আওয়ার সি-এর মহাসচিব মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক এর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি দল বুধবার (৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলমের সাথে বৈঠক করেন।
তদন্ত দলের অন্য দুই সদস্য হলেন- বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট এর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য প্রকৃতি সাংবাদিক কেফায়েত শাকিল এবং এনভায়রনমেন্ট পিপল এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ। বৈঠকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন, হাতি হত্যার কারণ, হাতির করিডোর, আবাসস্থল, খাদ্য সংকটসহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ সময় সারওয়ার আলম দাবি করেন, রোহিঙ্গাদের কারণে ৬ হাজার একর বনভূমি বেদখল হওয়ায় হাতিসহ এই অঞ্চলের বন্যপ্রাণীরা বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। হাতির কোরিডোরে মানুষের বসবাস, রান্না বান্নার জন্য গাছ কেটে ব্যবহার করায় প্রতিনিয়ত বন কমছে এবং খাবার হারাচ্ছে হাতিরা। এতে সংঘাত বাড়ছে।
এছাড়া, সংরক্ষিত বনে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া, বন বিভাগের জনবল সংকটসহ নানান বিষয়ে কথা বলেন তাঁরা। পরে ছায়া তদন্তের কাজে কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের কাছে হাতি হত্যার ঘটনাগুলোর বিস্তারিত তথ্যও চান বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোটের ছায়া তদন্ত দলের সদস্যরা।
এর আগে হাতিসহ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বন বিভাগের ব্যার্থতার প্রতিবাদে গত ২৪ নভেম্বর ৭টি পরিবেশবাদী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট। পরে এই জোটে একাত্মতা ঘোষণা করে দেশের পরিবেশ, বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করা ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠন। গত ২৮ নভেম্বর বন ভবনের সামনে সাংস্কৃতিক অবস্থান কর্মসূচিও পালন করে জোটটি।সবশেষ গত ২ ডিসেম্বর জোটের আহ্বায়ক কমিটির বৈঠক শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাতি বিচরণস্থান পরিদর্শণ করে কার ব্যার্থতায় বার বার বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনা ঘটছে সেটি জানতে ছায়া তদন্ত করবে বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ