৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনা, রাজাকার ও আলবদরদের হটিয়ে কুড়িগ্রামকে মুক্ত করে।
দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বর্ণাঢ্য র্যালি, পুষ্পার্ঘ অর্পণ, গুণিজন সম্মাননা ও আলোচনাসভার আয়োজন করে। এছাড়াও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে স্টেডিয়াম মাঠে টি-২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
সকালে স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।
পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিসে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু’র সভাপতিত্বে হানাদার মুক্ত দিবসের তাৎপর্য বিষয়েখ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বীরপ্রতীক আব্দুল হাই সরকার, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন, প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে মুক্তিযদ্ধের স্বপক্ষে অবদান রাখার জন্য ৩৬ গুণিজনকে সম্মাননা পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে ৫ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা কুড়িগ্রাম মুক্ত করতে পাক হানাদার বাহিনীকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে সাঁড়াশি আক্রমন চালায়। পরে ৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি মিত্র বাহিনী বিমান হামলা চালায়। এসময় টিকতে না পেরে পিছু হটে পাকিস্তানী বাহিনী। সেদিন বিকেলে ৬নং সেক্টরের কোম্পানী কমান্ডার বীরপ্রতীক আব্দুল হাই মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে প্রথমে কুড়িগ্রাম শহরের ওভারহেট পানির ট্যাংকে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করে কুড়িগ্রামকে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করেন।
৬ নং সাব সেক্টরের কোম্পানী কমান্ডার বীরপ্রতীক আব্দুল হাই সরকার জানান, ৫ ডিসেম্বর থেকে কুড়িগ্রাম মুক্ত করতে পাক হানাদার বাহিনীকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়। পাশাপাশি মিত্র বাহিনী বিমান হামলা চালায়। এসময় সাঁড়াশি আক্রমনে টিকতে না পেরে পাকহানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে। পরে ৬ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কুড়িগ্রামে প্রবেশ করে শহরের ওভারহেট পানির ট্যাংকে প্রথম বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ