ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিষ দিয়ে শিকার: জীবিত-মৃত পাখি জবাই করে বিক্রি

প্রকাশনার সময়: ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৪৬

দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টা। জবাই করা ১৪ টি অতিথি পাখি নিয়ে বিক্রি করতে এসেছেন মো. সালাম মিয়া (৫৫)। ক্রেতা সেজেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম। দরদাম চলাকালেই আগে থেকে দূরে সরে থাকা বন বিভাগের কর্মকর্তা ও এসএমপি দক্ষিণ সুরমা থানার একটি দল উপস্থিত। আটক করা হলো পাখি বিক্রেতাকে।

ঘটনাটি রোববার (৫ ডিসেম্বর) সিলেট নগরীর প্রবেশ দ্বার হুমায়ুন চত্বরে। এসময় পাখি বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদে মিলে ভয়ংকর তথ্য। তিনি জানান, বিষ দিয়ে কৌশলে পাখিগুলো শিকার করা হয়। জীবিত অথবা মৃত যে কোন এক অবস্থায় সেগুলো জবাই করে প্রচুর দামে বিক্রি করেন। বিগত কয়েক বছর থেকেই এভাবে তিনি পাখি বিক্রির পেশায় জড়িত। এসব পাখি জৈন্তাপুর উপজেলার হাওর থেকে শিকার করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় এসব পাখি বিক্রির পাশাপাশি হরিপুরের সকল রেস্টুরেন্টে এসব পাখি বিক্রি করেন তিনি।

বাপার সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া তথ্যে অভিযান পরিচালনা করে বন বিভাগ সিলেট ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার একদল পুলিশ সদস্য।

আটক সালামের বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলায়। এসময় তার কাছ থেকে জবাই করা অবস্থায় চারটি লেঞ্জা হাঁস, প্যারা হাঁস ৬ টি, সরালি হাঁস ৪ টি মিলে মোট ১৪ টি পাখি উদ্ধার করা হয়।

দুপুরে তাকে আটকের পর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগ সিলেটের টাউন রেঞ্জ কর্মকর্তা (ওয়াইল্ডলাইফ) মো. শহীদুল্লাহ।

এদিকে বিষ দিয়ে পাখি শিকারের পর সেগুলো খেলে মানুষের শরীরে এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটের উপ-সিভিল সার্জন ডা. ধন্মেজয় দত্ত। তাছাড়া মৃত অবস্থায় পাখিগুলো জবাই করা হয়ে থাকলে সেগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ