কৃষকের উৎপাদিত শীতকালীণ লাউ, কুমড়া, মুলা, মেটে আলু, পেঁপে, লালশাক, পুঁইশাক, পালং শাক, লাউ শাক, কুমড়া শাক, সরিষা শাকসহ নানান প্রজাতির শাক-সবজিতে সয়লাব এখন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের চানগুরিয়া জোড়াখাম্বা নামক এলাকার অস্থায়ী সবজির বাজার। সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতা আর পাইকারদের পদচারনায় জমে উঠেছে শীতকালীন এ সবজির বাজার।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, প্রতি সপ্তাহের রবি ও বুধবার সকাল থেকে সবজির বাজার বসলেও বিকেলের মধ্যেই অনায়েসে বিক্রি হয়ে যায় টাটকা শাক-সবিজ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বরিশাল, উজিরপুর, বানারীপাড়া, বাবুগঞ্জের পাইকাররা এসে ট্রলি, পিকআপভ্যান, মাহেন্দ্রা ও ইজিবাইকযোগে সবজি কিনে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে বরিশাল শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায়। কৃষকদের উৎপাদিত সবজি স্থানীয়ভাবে বিক্রি করতে পেরে ও হাটটিতে কোন ইজারাদার না থাকায় কোন বাড়তি খরচ হচ্ছে না কৃষকদের। এতে খুচরা ও পাইকারি দামে সবজি বিক্রি করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।
সবজি ক্রয়ের একাধিক পাইকার জানান, সকাল থেকে দুপুর একটার মধ্যে সবজিগুলো বাজারে নিয়ে আসেন কৃষকেরা। যা কিনে নিয়ে বিকেলের বাজারে টাটকা অবস্থায় বিক্রি করা যায়। এছাড়াও তুলনামূলকভাবে গ্রামের সবজির মূল্য কম ও যাতায়ত খরচ সাশ্রয়ী হওয়ায় তারা (পাইকার) লাভবান হচ্ছেন।
স্থানীয় সরদার সোহেল, ফারুক হাওলাদারসহ একাধিক বাসিন্দা জানান, কৃষিতে সমৃদ্ধ গুঠিয়া ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে প্রচুর পরিমান শাক-সবজি উৎপাদিত হয়। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলা ও উপজেলা শহরের চাহিদা মেটায়।
উজিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো: তৌহিদ জানান, সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে এলাকার কৃষকেরা সবজি উৎপাদন করে লাভবান হওয়ায় দিন দিন শাক-সবজির আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ