গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সন্ত্রাসীদের হামলায় মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বোস, চিকিৎসক তপন মজুমদারসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার সীমানা এলাকা রাহুথড় বাজারে দ্বীননাথ সেবাশ্রমে নামযজ্ঞানুষ্ঠানের সভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বোস (আ’লীগ মনোনিত) ও টুঙ্গিপাড়া আইএইটির অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডাক্তার তপন মজুমদারসহ ৫ জন গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
চিকিৎসাধীন চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বোস জানিয়েছেন, বাৎসরিক নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভায় ওইদিন বিকেলে দ্বীননাথ সেবাশ্রম প্রাঙ্গণে কাশিয়ানী এবং মুকসুদপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের মোট চৌদ্দটি গ্রামের তিন শতাধিক মানুষ উপস্থিত হন।
সভা চলাকালে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দীনেশ মন্ডল এবং তার জামাই সন্ত্রাসী ও মাদক মামলার আসামী কমলেশ ঘোষের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় তিনিসহ ডা. তপন মজুমদার, অজিতেষ বিশ্বাস, মিল্টন বিশ্বাস ও অজয় বিশ্বাসসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এছাড়াও গত ২ ডিসেম্বর দীনেশ মন্ডলের লোকজন উজানীতে শ্যামলের সমর্থক মো. এনায়েত হোসেনসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় বাড়ি ঘরেও ভাংচুর চালায় তারা।
শ্যামল আরও অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি ইউপি-নির্বাচনে তার কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে দীনেশ মন্ডল হেরে গিয়ে তার জামাই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কমলেশ ঘোষ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে দীনেশ মন্ডল বলেছেন, নির্বাচনের পর থেকে আমি অসুস্থ, বাড়িতে অবস্থান করছি। হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এব্যাপারে কাশিয়ানী থানার ওসি মাসুদ রায়হান জানিয়েছেন, ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ