ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নবীনগর থানার সামনে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

প্রকাশনার সময়: ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৫৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানা গেটের সামনে পূর্ব বিরোধের জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং, নবীপুর ও পৌরসভার আলমনগর গ্রামের যুবকদের মধ্যে গত কয়েক মাস যাবত বিরোধ চলছিলো। এরই জের ধরে নবীপুর গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে শাওন আজ সকালে সিএনজি যোগে ঢাকায় যাওয়ার পথে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে সিএনজি আটক করে তাকে মারধর করে আলমনগর গ্রামের মেহেদী ও রবিনসহ কয়েকজন যুবক।

এ সময় কাউসার মিয়া থানার ভেতর একটি শালিশে ছিলেন। সংবাদ পেয়ে কাউসার মিয়া থানা থেকে বেড়িয়ে থানার গেইটে যাওয়ার পর দেখা হয় প্রতিপক্ষের রাজিব ও রবিনসহ আরও কয়েকজনের সাথে। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই থানার গেইটের ভেতর দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে ৩ পুলিশসহ ৮ জন আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নবীনগর হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে দুই পক্ষ আবারও হাসপাতালের ভেতর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় নবীনগর থানার এসআই আবদুল আজিজ, এসআই, আল মামুন, এসআই আশরাফুল ইসলাম, নবীপুর গ্রামের শাওন(২১), আবু কাউসার(৩৮), সবুর মিয়া(২৪), লাপাং গ্রামের পাভেল(২৮), আলমনগর গ্রামের রাজিব(৩১) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মেহেদীসহ ৬জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রশিদ বলেন, ‘একটি সামাজিক সালিশি সভায় কাউসার থানায় আসেন। এসময় হঠাৎ করে তার মোবাইলে একটি ফোন আসে, তার ভাগিনাকে কে বা কারা সিএনজি থেকে নামিয়ে মারধর করছে। তাৎক্ষণিক কাউসার থানা থেকে বের হতে গেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশের তিন এসআইসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হলে দ্বিতীয় দফায় আবারও তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ