ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কিশোর-কিশোরী ক্লাবের ৯ লক্ষ টাকার হদিস নেই

প্রকাশনার সময়: ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৩৭

‘শেখ হাসিনার বারতা, নারী পুরুষ সমতা’ এই শ্লোগানে এগিয়ে চলেছে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের কার্যক্রম। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটা সেক্টরে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। এ উন্নয়নের ধারাকে থমকে দিতে এক শ্রেণির মানুষ উঠে পড়ে লেগেছে। সে রকমই অভিযোগ উঠেছিল চুয়াডাঙ্গার কিশোর-কিশোরী ক্লাবের বরাদ্দকৃত নাশতা নিয়ে। অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিলো ক্লাবের সাংস্কৃতিক উপকরণ কেনায়। এবার অভিযোগ উঠেছে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের ৪ মাসের বকেয়া নাশতার টাকা নিয়ে। জুলাই-আগস্ট ও সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এই ৪ মাসের নাশতার বকেয়া ৯ লক্ষাধিক টাকার হদিস নেই। টাকা উত্তোলন করলেও ওই টাকা খরচ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকছুরা জান্নাত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ‘কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ৪৫টা ক্লাব রয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১১টি এবং আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১৬টি ক্লাব রয়েছে এবং দামুড়হুদা ও জীবননগরে রয়েছে ১৮টি ক্লাব। ক্লাব গুলোতে সপ্তাহে দুই দিন বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কিশোর-কিশোরীদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন করা হয়।

প্রত্যেকটি ক্লাবে ৩৫ জন সদস্য হিসাবে প্রতি কার্যদিবসে ৩০ টাকা করে নাশতার বরাদ্দ রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১১টি ক্লাবের প্রতি মাসে নাশতা বাবদ বরাদ্দ আসে ৯২ হাজার ৪০০ টাকা এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৬ ক্লাবের জন্য প্রতি মাসে বরাদ্দ আসে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪০০ টাকা। করোনাকালীন সময়ে ক্লাবের কার্যক্রম চললেও সরকারিভাবে নাশতা দেয়া হয়নি। গেল জুলাই ও আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে করোনাকালীন নাশতার বকেয়া ৪ মাসের টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার ২৭ টি ক্লাবের জন্য নাশতার ৯ লাখ ৭ হাজার ২শ’ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বিভিন্ন ক্লাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই বরাদ্দের টাকা দিয়ে কেনা নাশতা আজও দেয়া হয়নি। কিশোর-কিশোরী ক্লাবের বেশকিছু প্রশিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, বকেয়া নাশতা তাদেরকে আজও দেয়া হয়নি। শুধু তাইনা, কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সাংস্কৃতিক উপকরণ কেনায় অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন প্রশিক্ষকরা। তাদের দাবি এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।

বিষয়টি জানান জন্য চুয়াডাঙ্গা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে গেলে উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাকছুরা জান্নাতকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না। কর্তৃপক্ষের কাছে বলেন।

তবে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের একাধিক ব্যক্তি অনিয়মের বিষয়টি সুবিবেচনা করার জন্য চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া বিষয়টি খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, এধরনে অভিযোগ আমি পিয়েছি। তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ