কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চলতি রবি মৌসুমে চরাঞ্চলের বেশিরভাগ জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এ বছর ফলনও হয়েছে বাম্পার। বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে শুধুই হলুদের সমারোহ। দূর থেকে দেখে মনে হয়, যেন হলুদ গালিচা বিছানো সর্বত্রই।
তবে সরিষা ফুলের কদর থাকায় ওই ফুল বিক্রি করে অনেকেই করছেন বাড়তি উপার্জন ।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে অনেক বেশি।
সরিষা ফুলের কদর বেশি থাকায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সরিষা আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কৃষকরা জানায়, সরিষার ফুল দিয়ে গৃহিণীরা মজাদার পিঠা ও বড়া তৈরি করেন বিধায় সর্বত্রই সরিষা ফুলের চাহিদা রয়েছে।
তাই এবার অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সরিষার আবাদ করেছেন এবং ফলনও হয়েছে ভালো। এ সময় উপজেলার চর জামাইল গ্রামের কৃষক নবী হোসেন ও নুরুল হুদা সহ অনেকে জানান, তারা এ বছর ৪বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করে ১৩ হাজার টাকার খরচ করেছেন কিন্তু ফুল বিক্রি করে ৩৫ হাজার টাকা লাভ করেছেন।
এব্যাপারে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস জানান, অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের যথাযথ তদারকি ও পরামর্শের কারণে কৃষকরা কম খরচে সরিষা আবাদ করে বাম্পার ফলনসহ শুধুমাত্র সরিষার ফুল বিক্রি করে মোটা অংকের আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
তাছাড়া পরিপক্ক সরিষা উৎপাদন করে আরো বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ