দীর্ঘ ১৫২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পরীভ্রমণ শুরু করেছে রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের তিন শিক্ষার্থী। তারা হলেন ইলেকট্রিকাল টেকনোলজির সপ্তম পর্বের ছাত্র শহিদুল ইসলাম, একই পর্বের ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজির রাকিবুল ইসলাম রুম্মান ও পাওয়ার টেকনোলজির কামরুল ইসলাম খান।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় থেকে এক যাত্রা শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটির এই তিন রোভার স্কাউট সদস্য। আগামী ছয় ডিসেম্বর পঞ্চগড় জেলার ভজনপুর সেতু গিয়ে এই যাত্রার সমাপ্তি ঘটবে।
ভ্রমণ কালে স্কাউটস পোশাক পরিহিত এই তিন যুবক শুক্রবার দুপুরে নীলফামারী শহরে প্রবেশ করে। পরে তারা জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার ও নীলফামারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। নীলফামারীতে অবস্থানকালে দর্শনীয় বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন তারা।
‘প্রজন্মের দীক্ষা, কারিগরি শিক্ষা’ ও ‘করোনা শেষ হবার নয়, সচেতনতায় সুরক্ষা হয়’ এবং পলিথিনের সর্বগ্রাস পরিবেশের সর্বনাশ’ প্রতিপাদ্যে এই পরিভ্রমণ কর্মসূচী শুরু করেছে রোভার স্কাউটের এই তিন শিক্ষার্থী।
দলের নেতৃত্বে থাকা শহিদুল ইসলাম জীবন জানান, পরিভ্রমণের ফলে আমরা অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারবো। পথিমধ্যে দর্শনীয় বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণ এবং তার ইতিহাস জানার চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশ স্কাউটস রংপুর জেলা রোভারের সম্পাদক মহাদেব কুমার গুন বলেন, প্রেসিডেন্টস রোভার এ্যাওয়ার্ড অর্জণের লক্ষ্যে ১৫২ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণের উদ্যোগ নিয়েছে তারা। পথিমধ্যে নানা বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে এবং শিক্ষা লাভ করবে।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ, করোনা মোকাবেলা এবং পলিথিন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করণে বার্তা পৌঁছাবে তারা মানুষের কাছে। তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হলে মানুষ উপকৃত হবে।
নীলফামারী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, শৃঙ্খলার জন্য স্কাউটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পড়াশোনা শৃঙ্খলা একে অপরের পরিপূরক। রংপুরের তিন রোভার সদস্য যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি অভিনন্দন জানাই।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ