ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে জন্ম সনদ বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:০১

বাগেরহাটে বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে ৭ বছর বয়স কমিয়ে ভূয়া জন্ম সনদ তৈরি করে বিয়েতে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নে ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কৃষ্ণ পদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার অমাল বিশ্বাসের ছেলে অসিম বিশ্বাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানান, আমার বোন ছোট সিংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় ইউপি সদস্য কৃষ্ণ পদ বিশ্বাস ও তার সহযোগী উৎসব রায় কোন আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে আমার মা গীতা বিশ্বাসকে ভুল বুঝিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে অর্থের বিনিময়ে আমার বোনের ভূয়া জন্ম সনদ ও টিকা কার্ড তৈরী করে।

তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১০ যা পরিবর্তন করে ৭ বছর কমিয়ে ৭ জুলাই ২০০৩ করা হয়েছে। গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্যে এই ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে একই গ্রামের নিলয় মৃধার ছেলে দিবস মৃধার সাথে এই বিবাহের আয়োজন চলছিল।

পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি জানতে পারলে তিনি বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে অবস্থা বেগতীর দেখে স্থান পরিবর্তন করে সদর উপজেলার গোটা পাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালি গ্রামে মেয়ের মামা বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করলে ওটিও ইউএনও এর হস্তক্ষেপে আবারো বিয়ে বন্ধ করা হয়।

পরে পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর উপজেলার শেখ মাটিয়া গ্রামে বিয়ের আয়োজন করলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাও বন্ধ হয়। আমার বোনের বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য বারবার বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করার কারনে ইউপি সদস্যসহ বিয়ের পাত্র দিবস মৃধা ও তার লোকজন বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি-ধামকী দিচ্ছেন। আমার মাকে ভুল বুঝিয়ে ঘরে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই ভুয়া জন্ম সনদ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগে জানান।

ছোট সিংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) পিযুষ অধিকারী ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন। তিনি সঠিক কাগজপত্র ফিরে পেতে ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, বাল্য বিয়ের আয়োজনের কথা স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে কয়েক দফায় স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছিল। ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ভূয়া জন্ম সনদ তৈরির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ