ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জমি লিখে না দেওয়ায় হত্যাচেষ্টা, ছেলে আটক

প্রকাশনার সময়: ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১৮:১৮

মাগুরায় চাঞ্চল্যকর পিতা শহিদুল হককে হত্যাচেষ্টাকারী তার নিজ পুত্র হানিফ মিয়াকে আটক করেছে র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ। গত ২৩ নভেম্বর মাগুরা সদর উপজেলা হাজরাপুর ইউনিয়নের উথলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জমি লিখে না দেওয়ার কারণে ধারালো ছুরি দিয়ে বাবার হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলা দিয়েছিলো ছেলে হানিফ মিয়া। সোমবার (২৯ নভেম্বর) সকালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রামের রুবেল হোসেনের বসতবাড়ি থেকে র‌্যাব-০৬ এর সদস্যরা তাকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-০৬ এর (ঝিনাইদহ অঞ্চল) সিও (কমান্ডিং অফিসার) মেজর শরীফ।

সোমবার বেলা ১ টার দিকে র‌্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর শরীফ বলেন, জমি লিখে না দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৩ নভেম্বর মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের উথলি গ্রামের শহিদুল ইসলাম ওরফে সাধুকে তার ছোট ছেলে হানিফ মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে হাতের কব্জি কেটে ফেলে। এ ঘটনায় শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা ঐদিন রাতে মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই হানিফ মিয়া পলাতক ছিলেন। ঘটনার পর থেকেই হানিফ মিয়াকে ধরতে আমাদের অভিযান চলছিল। অবশেষে অভিযান চালিয়ে তাকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রামের রুবেল হোসেনের বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

গুরুতর জখম অবস্থায় বাবা শহীদুল হক ওরফে সাধু (৭০) কে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা খারাপ হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে এবং এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে বাবার পরিবার থেকে পৃথক হয়ে থাকতেন ছোট ছেলে হানিফ মিয়া। বাবা শহীদুল হক থাকতেন বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সাথে। সংসার আলাদা হয়ে যাওয়ায় মাঝে মধ্যেই বাবার সম্পত্তি থেকে কিছুু ফসলি জমি লিখে দেয়ার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন ছোট ছেলে হানিফ। কিন্তু আচার-আচরণ ভালো না হওয়ার কারণে বাবা ছোট ছেলেকে কোন সম্পত্তি লিখে দেননি। এ কারণেই বাবার উপরে খুব্ধ ছিলেন ছোট ছেলে। সম্পত্তি না পেয়ে অবশেষে হানিফ গত ২৩ নভেম্বর সকালে বাড়ির পাশের একটি চায়ের দোকানে বাবার উপর হামলা চালিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলে।

র‌্যাব-০৬ এর সিও মেজর শরীফ বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত হানিফ মিয়াকে মাগুরা সদর থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।’

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ