টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে লেখাপড়া শেষ করে কয়েক বছর একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরি করেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নে পাহাড় অনন্তপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম। কিন্তু তার মন পড়ে থাকত নিজ গ্রামে। শহুরে জীবন তার কাছে বন্দী জীবন মনে হতো। সাইদুল ওই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
এরপর করোনাকালে বন্ধ হয়ে যায় সাইদুলের কোম্পানি। তাই চাকুরির আনুষ্ঠানিক পাট চুকিয়ে গ্রামে ফিরে মনোনিবেশ করেন কৃষিকাজে। শুরু করেন টক স্বাদের কুল বরই ও চায়না-৩ জাতের লেবু চাষ।
আগাম জাতের টক কুল চাষে এখন স্বপ্ন বুনছেন সাইদুল। সাধারণত কুল ফাগুন মাসে পাকলেও এখন অগ্রহায়ণ মাস থেকেই বাজারে পাওয়া যাবে আগাম এ জাতের টক কুল।
গেল বৈখাশ মাসে ঝিনাইদহ থেকে ৪০টাকা দরে ২ হাজার ৪০০ আগাম টক কুল চারা ক্রয় করে রোপন করেন। একইসাথে সাথি ফসল হিসেবে তিনি চায়না-৩ জাতের লেবু চারা রোপন করেন চার হাজার। অগ্রহায়ণ মাস শেষ থেকেই বাজারে পাওয়া যাবে আগাম এ টক বরই।
কৃষি উদ্যোক্তা মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আগাম টক কুল ৯মাস থেকে ফল পাকতে শুরু করবে। প্রতিটি গাছে পাঁচ কেজি কুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমার ২ হাজার ৪০০ চারা রোপন করতে খরচ হয়েছে এক লাখ টাকা। আর এ থেকে আয়ের সম্ভাবনা ৯ লাখ টাকা।’
রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘প্রয়োজনমতো সার-কীটনাশক ব্যবহার করায় সাইদুলের বাগানটি বেশ ভালো হয়েছে। ফলনও হবে বেশ ভালো।’
উপজেলা কৃষি অফিসার জেসমিন নাহার বলেন, ‘সাইফুলের মতো এ ধরণের কৃষি উদ্যোক্তাদেরকে উপজেলা অফিস কৃষি অফিস থেকে সহায়তা চাইলে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা দেয়া হবে।’ সাইদুলের ন্যায় ফুলবাড়িয়ায় অন্য চাষীরাও আগাম জাতের টক কুল চাষ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
নয়া শতাব্দীে/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ