ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যেকোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন মেয়র আব্বাস

প্রকাশনার সময়: ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৪৪ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৫০

রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার বিতর্কিত মেয়র আব্বাস আলী বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করলে পাপ হবে-এমন মন্তব্য স্বীকার করেছেন। প্রথমবার ফেসবুক লাইভে এসে শুক্রবার তিনি নিজের মন্তব্যে প্রসঙ্গে কথা বলেন। তবে তিনি কোথায় আছেন, তা কেউ জানেন না।

তার এই বক্তব্যের অডিও ফাঁস হওয়ায় রাজশাহীসহ দেশজুড়ে মেয়র আব্বাসকে নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আত্মগোপনে থেকে ফেসবুকে লাইভ দিচ্ছেন। তাই যেকোনো মুহূর্তে মেয়র আব্বাস আলী গ্রেফতার হতে পারেন বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। আব্বাসের বিরুদ্ধে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) কাউন্সিলর মোমিনের করা মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বলে জানা গেছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের নগর মুখপাত্র ও অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি আমাদের পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা দেখছেন। তদন্ত ও প্রমাণ সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত চলছে। অডিও ক্লিপটির সত্যতা যাচাইয়ে একজন এক্সপার্টিজের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) মেয়র আব্বাস নিজেই ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে তা প্রমাণ করেছেন। এতে প্রমাণিত হয়েছে তিনি দোষী। তার গ্রেফতারের জন্য দুটো আলামতই যথেষ্ট। একটা হচ্ছে- অডিও ক্লিপ ও দ্বিতীয়টি তার ফেসবুকে এসে মাফ চাওয়া। এই দুটো জিনিসই যথেষ্ট। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তার অবস্থান খোঁজার জন্য আমাদের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তা নিচ্ছি। আশা করছি যেকোনো মুহূর্তে মেয়র আব্বাসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।

মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা পত্রের বিষয়ে সাংবাদিকদের জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পৌর কাউন্সিলরদের প্রদান করা অনাস্থা পত্র ও পৌর রেজুলেশনের কাগজাদি গ্রহণ করা হয়েছে। এখন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। এরপর তার একটি প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হবে।’

জেলা প্রশাসক আরও জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার কাগজটিও আমার হাতে এসেছে। সেটির একটি পজিটিভ প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। এখন মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশনা আশার পর সে অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ