টাঙ্গাইলের নাগরপুরে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের পাইকেল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত তোতা শেখ (৪০) উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের পাইকাইল গ্রামের আক্কেল শেখের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, আগামী ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এতে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে একজন মারা যায়।

আহতদের নাগরপুর ও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ আক্কেল মেম্বারের ছেলে রফিক শেখ বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলাম। হঠাৎ আমাদের গ্রামের দপ্তিয়র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুদ্দীন আমাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কাজ না করার অভিযোগ আনে। এ বিষয় নিয়ে শুক্রবার বিকালে আমাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় সাইফুদ্দীন, সুমন, খাজা ও জাহাঙ্গীর সদলবলে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে অতর্কিত হামলা করে। এসময় আমার পায়ে গুলি করা হয়। পাইকাল গ্রামের মিনহাজ মন্ডলের ছেলে বাচ্চু মন্ডল, সুমন, কবীর ও আমার ভাই তোতা শেখ গুরুতর আহত হয়। পড়ে লোকজন আমাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর হসপিটালে নিয়ে আসলে আমার ভাই তোতা শেখ মৃত্যুবরণ করেন।

নাগরপুর থানার ওসি সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান জানান, আজ সন্ধ্যায় নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের পাইকেল গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায়।

নয়া শতাব্দী/এম