‘মায়ের এক ধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম, পাপোশ বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না। এমন দরদী ভবে কেউ হবেনা আমার মা, মাগো...’ গানটি সবার অতি পরিচিত হলেও এর মর্মার্থ বুঝি ক’জন। এখনো বাংলার আনাচে কানাচে অনেক মা সন্তানের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। মায়েরা একটু বৃদ্ধা হলেই সংসারের বোঝা মনে করে রাস্তায় ফেলে যাচ্ছে কেউ বা আবার বৃদ্ধাশ্রমেও ভর্তি করাচ্ছে।
স্বজনদের হাতে নির্যাতনের শিকার এমনই এক বৃদ্ধা মায়ের দেখা মিললো বরগুনা বাজারের সিলভার পট্টিতে। রাস্তার পাশেই ছালাকাটা বিছিয়ে মূর্মুর্ষ অবস্থায় শুয়ে ছিলেন অসুস্থ ওই বৃদ্ধা মা।
বিষয়টি বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক উপ-সম্পাদক সুমন রায়ের নজরে আসলে ওই বৃদ্ধা মায়ের পাশে গিয়ে জানার চেষ্টা করেন তিনি কোথা থেকে আসছেন? কীভাবে আসছেন?
সুমন রায় জানান, ওই বৃদ্ধা মহিলা তখন বলেন- তার নাম আরিফুল বিবি, ঢাকায় তার দুই ছেলে রয়েছে। কিন্তু; তারা নাকি তাকে দেখাশুনা করেন না। ঠিকভাবে খাবার দেন না বরং নির্যাতন করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। ঘৃণায়, ক্ষোভে, যন্ত্রণায় এদিক-সেদিক ছুটে বেড়াচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধা। তবে কীভাবে যে বরগুনা আসলেন তা ঠিকভাবে বলতে পারছেন না।
সুমন আরও জানায়, ‘বৃদ্ধা মহিলার এই করুণ অবস্থা দেখে আমিসহ ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন ভাই ব্রাদার মিলে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এবং তার খাবারের ব্যবস্থা করি। যতদিন না পর্যন্ত ওনার স্বজনরা না আসবে ততদিন তার অভিভাবক হিসেবে পাশে থাকবো।’
সুমন বলেন, ‘বিষয়টি বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক ভাইকে জানালে তিনিও ওই বৃদ্ধার খোঁজ খবর রাখছেন। ’
ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর ওই বৃদ্ধা মা আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ। তবে তিনি এখনো তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছেন না। আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মহোদয়কে জানাবো। আশা করছি তারা এ ব্যাপারে সহযোগীতা করবেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ