শীতের খাবারে ভিন্ন স্বাদ আনতে কুমড়া বড়ির প্রচলন দীর্ঘদিনের। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শীতের পিঠাপুলি খাবারের মত কুমড়া বড়িরও বেশ কদর রয়েছে। আর এই মুখরোচক সুস্বাদু খাদ্য অতিযত্নসহকারে শৈল্পিকভাবে তৈরি করছেন নওগাঁর কুমড়া বড়ি তৈরির কারিগরেরা। শীতের শুরু থেকে চার মাস এই কুমড়া বড়ি তৈরির কাজে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেন তারা।
জানা গেছে, জেলা শহরের সুলতানপুর মহল্লা, রানীনগর, আত্রাই, মান্দা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী উপজেলার গ্রামীণ নারীরা এ কাজের সঙ্গে জড়িত। সারা বছরই কমবেশী কুমড়া বড়ি তৈরি হয়। তবে শীত মৌসুমে এটার চাহিদা বেশি থাকে। কুমড়া বড়ি তৈরীর প্রধান উপকরণ মাসকালাই ও কুমড়া। বাজারে প্রতিকেজি মাসকলাই ৯০-১০০ টাকা কেজি। একটি বড় আকারের কুমড়া ৩০-৪০ টাকা। মাসকালাই প্রথমে ভেঙে পরিষ্কার করে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরপর পাটায় ডাল পিষতে হয়। বর্তমানে মেশিনের মাধ্যমে ডাল পিষে অতি সহজে এই কাজটি করছেন তারা। ডালের সাথে কুমড়া, কালোজিরা আর বিভিন্ন প্রকারের মসলা মিশিয়ে শৈল্পিক হাতে তৈরি হচ্ছে এই কুমড়া বড়ি।
কুমড়া বড়ির কারিগর ঈশ্বর বলেন, ‘এই বছর জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে লাভের পরিমাণ কমে গেছে। তবু বসে না থেকে প্রতি বছরের মত এবারো কুমড়া বড়ি তৈরির কাজ করছি। বর্তমান বাজারে ২০০-২৫০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এই বড়ি।’
আরেক কুমড়া বড়ি তৈরির নারী কারিগর আরতি রানী বলেন, ‘শীতের এই চারমাস আমাদের ঘরে বসে কাজ করে একটু বাড়তি আয় হয়। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হয়। মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আমরা পাই। সেটি দিয়ে পরিবার ও নিজের চাহিদা মিটিয়ে থাকি।’
সচেতন মহলের দাবি-উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ কাজ করে গ্রামীণ নারীরা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ