ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হোসেনপুরে বাড়ছে বায়ু দূষণ; ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগ

প্রকাশনার সময়: ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১৫:১৯

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বেড়েই চলছে বায়ু দূষণ। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তাঘাটে ধুলা দূষণের প্রকোপ অত্যন্ত বেড়ে গেছে। এতে মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট, হাঁচি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগ-জীবাণুর সংক্রামণ। তবে বায়ু দূষণের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। বড় বড় ড্রাম ট্রাক, লড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনে আচ্ছাদনহীন ভাবে বালু পরিবহন করে। কিন্তু দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বালু বহনের ক্ষেত্রে পুরো যানবাহনগুলোকে আচ্ছাদিত করে রাখার নিয়ম থাকলেও তারা তা মানছে না। ফলে ঢাকনা বিহীন বেপরোয়া গতিতে চলার সময় বালু বাতাসে উড়ে ধূলাদূষণ দেখা দিয়েছে। এতে পথচারীসহ বিভিন্ন আরোহীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

উপজেলায় পৌরসভার বাসিন্দা টুনু মুন্সি (১০১) জানান, শুষ্ক মৌসুমে বাহিরে বের হলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাস্তায় ধুলাবালির কারণে শ্বাসকষ্ট ও হাঁচি-কাশি দেখা দেয়। শুধুমাত্র সড়কের ধুলার কারণেই এমনটা হয় বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদফতরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেছেন, শীতে বায়ু দূষণের মাত্রার পাশাপাশি বাড়ে সংক্রমণ রোগের ঝুঁকি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ইট ভাটায় ইট প্রস্তুত ও ইট পোড়ানোর পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট উন্নয়ন, মেরামত ও সংস্কারের আওতায় রাস্তাঘাট খোড়াখুড়ির পাশাপাশি আচ্ছাদনহীন ট্রাকে বালু পরিবহন করা, ড্রেন পরিষ্কার করে রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ করে রাখা, দোকানপাট ও গৃহস্থালি আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা, মেরামতহীন ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় যানবাহন চলা, পাকা ভবন নির্মাণের সময় মাটি, বালু, ইট সহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার ফুটপাতে ফেলে রাখা ইত্যাদি ধুলা দূষণের অন্যতম উৎস।এসব উৎস থেকে বিপুল পরিমাণ ধুলা বাতাসে মিশে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থার হেলথ ইন্সটিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ টিপস এন্ড ইভালুয়েশন এর যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১লাখ ২২ হাজার ৪শ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডির তথ্যে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণে ১১শতাংশ ডায়াবেটিস, ১৬ শতাংশ ফুসফুসের ক্যান্সার, ১৫শতাংশ দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের রোগ, ১০শতাংশ হৃদরোগ ও ৬ শতাংশ স্ট্রোক এর জন্য দায়ী।

হোসেনপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নাসিরুজ্জামান জানান, উপজেলায় বায়ু দূষণে হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট, হাঁচি-কাশি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে বায়ু দূষণ প্রতিরোধে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে জানান তিনি।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ