কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কারাগার পরিদর্শনে গেছেন। তিনি লটারির মাধ্যমে জেলে বন্দি থাকা কিছু কয়েদিকে মুক্তির সুযোগ করে দেবেন। আর এ সুযোগের জন্য গুণতে হবে ৮৫ হাজার টাকা। এমন লোভনীয় কথার ফাঁদে পড়েছেন এক কয়েদির পরিবার। প্রতারক চক্রের দেওয়া বিকাশ নম্বরে পাঠিয়েছেন সেই টাকাও। এরপর থেকে বন্ধ প্রতারক চক্রের মোবাইল নম্বর।
অভিনব এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন চকোরিয়ার লক্ষ্যারচরের বাসিন্দা নিলুফা সুলাতানা। বর্তমানে তিনি স্বামী সোলতান মো. বাবুলসহ পরিবার নিয়ে কলাতলী সী প্যালেসের বিপরীতে বেভিউ সড়কে বসবাস করছেন।
ভুক্তভোগী নিলুফা সুলতানা জানান, তার ছোট ভাই মো. পারভেজ একটি মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস ধরে কক্সবাজার জেলা কারাগারে আছেন। গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ তার মায়ের মোবাইল ফোনে ০১৩২৩-৯৩৫৬৬৪ নম্বর থেকে একটি কল আসে। জানানো হয়- লটারির মাধ্যমে কয়েকজন কয়েদিকে জেলা প্রশাসক কারাগার থেকে মুক্ত করবেন। এজন্য দিতে হবে ৮৫ হাজার টাকা। টাকা দিলেই পারভেজকে সঙ্গে সঙ্গে কারাগার থেকে বের করা হবে।
এমন আশ্বাসে সরল বিশ্বাসে বিকাশ এজেন্ট থেকে প্রতারক চক্রের ০১৩২৩-৯৩৫৬৬৪ নম্বরে ২৫ হাজার টাকা, ০১৮৮৯-৬৮০৩২১ নম্বরে ৩৫ হাজার টাকা এবং ০১৭৯৫-০৭৬৮৯৬ নম্বরে ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ৮৫ হাজার পাঠানো হয়। কিন্তু টাকা দেওয়ার পর সব মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দেন নিলুফা সুলতানা।
যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার এএসআই শাহনুর আলম বলেন, ‘প্রতারণার একটি অভিযোগ পেয়েছি। প্রতারক চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ