ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিখোঁজ নয়, বাবার কাছে গিয়েছিলেন তিন বোন 

প্রকাশনার সময়: ১৯ নভেম্বর ২০২১, ২০:৩১

রাজধানীর আদাবরে খালার বাসা হতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বেরিয়ে যাওয়া তিন বোন নিখোঁজ নয়। তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে অসুস্থ বাবার কাছে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ যশোর সদর উপজেলার চাঁদপাড়া পশ্চিমপাড়ায় তাদের বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধারের পর এসব তথ্য জানা যায়। এরা হলেন, রুকাইয়া আরা চৌধুরী (২১), জয়নব আরা চৌধুরী (১৯) ও খাদিজা আরা চৌধুরী (১৭)। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এদিকে ঢাকা থেকে তাদেরকে টিকটকে আসক্ত বলা হলেও যশোর পুলিশের দাবি, তারা টিকটক আসক্ত নয়, তাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনও নেই।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবি ওসি রুপণ কুমার সরকার জানান, শুক্রবার যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আনসারুল হক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে যশোর সদর উপজেলার চাঁদপাড়া পশ্চিমপাড়া হতে ভিকটিম রুকাইয়া আরা চৌধুরী (২১), জয়নব আরা চৌধুরী (১৯) ও খাদিজা আরা চৌধুরীকে (১৭) উদ্ধার করেছে। তাদের পিতা রফিকুজ্জামান ও মাতা মৃত- তাসনিম আরা চৌধুরী।

ডিবি ওসি রুপণ কুমার সরকার আরও জানান, উদ্ধারকৃত ভিকটিমরা তাদের বাবা মায়ের সাথে উত্তরা লেকসিটি কনকর্ডে ভাড়া বাসায় থাকত। ২০১২ সালের দিকে তাদের বাবা-মায়ের মধ্যে ঝগড়া হলে তাদের বাবা যশোর চলে আসেন এবং ভিকটিমরা মায়ের সাথে ঢাকায় থেকে যায়।

ভিকটিমদের বাবা রফিকুজ্জামান স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট ভিকটিমদের মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে ভিকটিম রুকাইয়া আরা চৌধুরীকে লালন-পালনের দায়িত্ব নেন তার খালা সাজিয়া নওরিন চৌধুরী এবং ভিকটিম জয়নব আরা চৌধুরী ও খাদিজা আরা চৌধুরীর লালন-পালনের দায়িত্ব নেন আরেক খালা সামিয়ারা চৌধুরী।

ভিকটিমদের লালন-পালনের এক পর্যায়ে গত ১৮ নভেম্বর সকাল ১১:০০ ঘটিকায় মোহাম্মদপুর বাসা থেকে তিনজন ভিকটিম নিখোঁজ হন এবং এ সংক্রান্ত সাজিয়া নওরিন আদাবর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। জিডি নং-৮৭৫, তাং-১৮/১১/২১ ইং।

ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জানা যায়, তাদের বাবা-মা আলাদাভাবে বসবাসের পর হতে ২০১২ সালের পর তাদের বাবার সাথে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি এবং তাদের উপর অত্যাচার করা হতো। তাই ভিকটিম তিনবোন পরামর্শ করে মোহাম্মদপুর হতে পালিয়ে যশোরে বাবার বাড়ি চলে আসে।

ডিবি ওসি রুপণ কুমার সরকার আরও জানান, ভিকটিমদের বাবা এখন প্যারালাইজড্ ও শয্যাশায়ী। তার বাসায় এই তিন বোন এসে অবস্থান করছিলেন। তারা টিকটক আসক্ত; এই তথ্য সঠিক নয়। কারণ তাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনও নেই।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ