ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পদ্মার ভাঙনে হুমকিতে সরকারি আবাসন প্রকল্প

প্রকাশনার সময়: ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১৪:১১

ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রির চর ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও চলাচলের সড়ক। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে সরকারি আবাসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

ডিক্রির চর ইউনিয়নের ধলার মোড় থেকে পদ্মা নদীর পাড় হয়ে পূর্বে পালডাঙ্গী ও তাহের ফকিরের ডাঙ্গী গ্রামে প্রায় দেড় কিলোমিটার ভাঙন চলছে। তাহের ফকিরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা জাকির প্রামাণিক (৩৫) বলেন, ‘গত আগস্টে প্রথম ভাঙন শুরু হয়। ওই সময় থেমে থেমে ভাঙতে থাকে। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে আবারো থেমে চলছে ভাঙন।’

ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা জাহিদ প্রামাণিক (৩৩) বলেন, ‘ভাঙনের ফলে এ পর্যন্ত আনুমানিক ২০০ একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া পালডাঙ্গীর সড়কটির অন্তত ৭০ ফুট নদীতে ভেঙে গেছে।’

ওই এলাকায় মাজেদা বেগম মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, মোতালেব হোসেন উচ্চবিদ্যালয়, মোতালেব হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চর টেপাখোলা উচ্চবিদ্যালয়, পূর্ব নাড়ারটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান। পালডাঙ্গী, কাজের মাতুব্বরের ডাঙ্গী, ভূঁইয়া ডাঙ্গী, তাহের ফকিরের ডাঙ্গী, রহিমের ডাঙ্গী, হাজী ঈদুর ফকিরের ডাঙ্গীসহ বিভিন্ন গ্রামে চার হাজার মানুষের বসবাস। এ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা দুর্ভোগে পড়বে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল ওয়াহাব বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে পালডাঙ্গী ও তাহের ফকিরের ডাঙ্গী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়বে। ভাঙন থেকে আধা কিলোমিটার দূরে রয়েছে সরকারি আবাসন প্রকল্পে ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত ১২টি ঘর। সেখানকার পরিবারগুলো আতঙ্কে আছে।’

ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, ‘ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দিক থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া পাইনি। তবে ভাঙনকবলিত জায়গায় নদীর যে গভীরতা তাতে পাউবো যে পদ্ধতিতে ভাঙন রোধ করে, তাতে সুফল পাওয়া মুশকিল।’

ফরিদপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, ‘পদ্মার পানি কমার কারণে ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড মূল ভূখণ্ড রক্ষায় কাজ করে। ধলার মোড় থেকে শুরু করে মুন্সিগঞ্জের মধ্যে যে এলাকা রয়েছে, তা পদ্মা নদীর চরাঞ্চল।’

পার্থ প্রতীম সাহা আরও বলেন, ‘চর এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতামত নেওয়া হলে ভালো হয়।’

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ