গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে চাঞ্চল্যকর হাসান হত্যা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবুসহ ৮ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ৮ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলিপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন। এ সময় আদালতে ১৬ আসামির মধ্যে ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফারুক আহমেদ প্রিন্স।
তিনি জানান, আব্দুল মান্নান নামে এক প্রফেসরকে পলাশবাড়ী আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে বেআইনিভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। এ কারণে এলাকার জনগণ তার প্রতিবাদ করে। কিন্তু নজরুল ইসলাম লেবুসহ তৎকালীন জামায়াত-শিবিরের নেতারা প্রতিবাদী লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আব্দুল মান্নানকে মারপিট করার জন্য জামাত-শিবিরের লোকজন গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর আমবাড়ী এলাকায় গিয়ে আব্দুল মান্নানকে মারপিট শুরু করেন।
এ সময় তার ভাই হাসান আলী তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান আলীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনের নামে মামলা করে।
এ মামলায় আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৬ আসামির মধ্যে ১৩ আসামির উপস্থিতিতে ৮ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ৬ জন উপস্থিত ছিলেন বাকি দুজন পলাতক। এ ছাড়া মামলার ৮ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, এ মামলায় আসামিপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাব।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ