শিশু সানিকে (৫) হত্যার মূল আসামি চান মিয়াকে বুধবার রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের একটি টিম।
শিশুটিকে হত্যা করার আগে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। ১০ নভেম্বর রাতে রাজধানীর বঙ্গভবন এলাকার পুলিশ বক্সের সামনে থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পল্টন থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আকতার।
তিনি জানান, শিশুটির লাশ উদ্ধারের পর পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। আটক চান মিয়া চুরি-ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত। এসব কাজে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে শত্রুতা তৈরি হয় প্রতিপক্ষ ল্যাংড়া রাসেল গ্রুপের সাথে। রাসেলকে ফাঁসাতে সে নিজের শ্যালিকার ছেলে সানিকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
লাশ উদ্ধারের পর দিন চান মিয়া নিজেই শিশুটির মা ঝর্না বেগমকে নিয়ে পল্টন থানায় যায়। শিশুটির মাকে দিয়ে ল্যাংড়া রাসেলসহ ৬ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ডিবি প্রধান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ঘটনার দিন চান মিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে স্টেডিয়ামের একটি দোকান থেকে একটি ফ্রুটজুস, ঘুমের ট্যাবলেট ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট কিনে। রাতে স্টেডিয়ামের ৩ নং গেট থেকে খেলায়রত শিশু সানিকে ডেকে নিয়ে ঘুমের ওষুধ মেশানো জুসটি পান করান। যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটটি চান মিয়া নিজে খায়। এরপর রাত ১১টায় গুলিস্তান পার্ক এলাকার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে নিস্তেজ শিশু সানির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। বিকৃত যৌন কামনা মেটাতে পাশবিক নির্যাতন চালানোর একপর্যায়ে শিশুটি গোঙানি শুরু করলে তাকে গলাটিপে হত্যা করে। লাশটি বস্তায় ভরে পুলিশ বক্সের কোণায় ফেলে দেন। এরপর নিজেই লাশ পাওয়া গেছে বলে শিশুটির মা ঝর্না বেগমকে খবর দেয়ার মিথ্যা নাটক সাজায়।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ