বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার ও কর্মী-সমর্থকদের খাওয়ানোর জন্য রান্না হচ্ছিল গরুর মাংসের খিচুড়ি। হিন্দু ধর্মালম্বীদের জন্য আলাদা ডেকচিতে রান্না হচ্ছিল মুরগির খিচুড়ি। আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী সরোয়ার মাহমুদের ছেলে ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সোহাগ এই ভোজের আয়োজন করেন।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে ওই খাবার পরিবেশনের কথা ছিল। এর আগেই সেখানে হাজির হন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান। সেখানে গিয়ে তিনি রান্না করা খাবার জব্দ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের রামপট্টি এলাকায়। রামপট্টি এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রাতে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরোয়ার মাহমুদের রামপট্টি এলাকায় নির্বাচনী সভা ছিল। সভার পর তাদের খাওয়ানোর জন্য ভোজের আয়োজন করা হয়। চেয়ারম্যান প্রার্থী সরোয়ার মাহমুদের ছেলে ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সোহাগ ভোটাদের খাওয়ানোর জন্য এই আয়োজন করেন। রান্নার শেষ পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। তখন চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলে ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সোহাগসহ কয়েকশ’ লোক পালিয়ে যান। পরে ভোজের আয়োজন বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি রান্না করা খাবার জব্দ করে তা বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে মো. মিজানুর রহমান জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে খাবারগুলো জব্দ করা হয়েছে। পরে খাবারগুলো ৪ টি এতিমখানায় বিতরণ করে দেয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলে ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান, তৃতীয় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে। তার বাবা সরোয়ার মাহমুদ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে তার বাবার অনেক কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। তারা বাবার জন্য খাটছেন। প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের জন্য রাতে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। খুব বেশি হলে এক দেড়শ’ কর্মী-সমর্থকদের খাবার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতিদ্বন্দ্বি এক প্রার্থী বাবার জনপ্রিয়তা দেখে ইর্ষান্বিত হয়ে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রচার করেছেন।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ