গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তুরাগ নদের উপরে শতবর্ষী সেতুটি স্ল্যাব ধসে ফুটো হওয়া গত বুধবার থেকে যান চলাচল বন্ধ। এরপর থেকে সৃষ্টি হয় যানজটের। স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকা-টঙ্গী-কালিগঞ্জ-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। দীর্ঘক্ষণ যানজটে নাকাল হয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে টঙ্গী এলাকা পার হচ্ছেন। আটকে থাকা গাড়িগুলো রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
তবে গত রোববার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত টঙ্গী সেতুর মেরামত কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি পূর্ব থেকে বিআরটি কাজের জন্য বন্ধ করে দেয়া এরশাদ সরকার আমলের মাঝখানের সেতুটি পুনরায় চালু করতে বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) চাইনিজ ইঞ্জিনিয়াররা কাজ শুরু করেছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৮/১০ দিনের মধ্যে বেইলি ব্রিজসহ টঙ্গী তুরাগ নদীতে থাকা ৩টি সেতুই একযোগে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে বিআরটির প্রকল্পের পরিচালক (সওজ) এ এস এম ইলিয়াস বলেন, আমরা অনেক ব্যস্ত, দ্রুত কাজ সারতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, সেতুর সংস্কারকাজ শেষ হতে আরও প্রায় ১০ দিন সময় লাগতে পারে।
যদিও গত ১১ নভেম্বর এ সেতু সংস্কারের পর পুনরায় চালু করতে ১৫ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম বলছিলেন, সেতুর স্ল্যাব বিশেষ ঢালাইয়ের মাধ্যমে পুনঃস্থাপন করতে হবে। এই ঢালাইয়ে সাত দিন লেগে যাবে। তারপর আরও কিছু কাজ রয়েছে। তাই এ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে অন্তত আরও ১০ দিন লাগবে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ