ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বপ্নের বাড়ি পেলেও পানিবন্দি জীবন

প্রকাশনার সময়: ০৮ জুলাই ২০২১, ১৩:০৪ | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২১, ১৩:১৯

মাথা গোঁজার ঠাই ছিলো না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বপ্নের বাড়ি উপহার দিয়েছেন। এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে বর্ষা মৌসুমে এখন এই বাড়ি থেকে বের হওয়ার কোনো রাস্তা নেই। বাড়ির চারিদিকে হাটুপানি। কর্ম করে দিনশেষে ঘরে ফিরতে ভোগান্তির শেষ নেই। রাতের অন্ধকারে সাপ-পোকা মাড়কের উৎপাত দেখা দিয়েছে।

পানিবন্দি হলেও ঘর পেয়ে আনন্দিত। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে রাস্তা তৈরী করে দিলে আমরা অনেক উপকৃত হবো বলে নয়া শতাব্দীর কাছে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পালি দক্ষিনপাড়া গ্রামের আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর প্রাপ্তরা। আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় এই উপজেলায় প্রথম দফায় ৩২ টি এবং দ্বিতীয় দফায় আরো ১৪টিসহ মোট ৪৬টি পরিবারকে মাথার গোঁজার ঠাই করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুর্গাপুরে নিচু জমিতে আশ্রায়ন প্রকল্পের এই ঘরগুলো নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার পালি দক্ষিনপাড়া গ্রামের সাতটি ঘরের চারিপাশে এখন হাটুপানি। যার ফলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের উপহার দেওয়া ঘরের মালিকরা জলাবদ্ধতায় চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ঘরের চারিপাশে হাটু পানিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ঘর থেকে বের হওয়ার কোন রাস্তা নেই এবং ঘরের সামনের পানি বের হওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর মালিকরা।

আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরের মালিক রুবেল, রোজিনা, আলেকজানসহ অনেকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে আমরা আনন্দিত। মাথা গোঁজার ঠাই করে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তবে ঘরের জায়গাটা নিচু হওয়ায় বর্ষার কারনে চারিদিকে পানি বেধে আছে। আর ঘরের চারিদিকে জলাবদ্ধতা কারনে পোকা-মাকড় বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনের বেলায় ঘরে বসে থাকলেও নিশ্চিতে থাকা সম্ভব নয়। কখন যেন ঘরের ভিতরে বিভিন্ন পোকা-মাকড় উঠে আসে।

ঘর থেকে বাহিরে বের হওয়ার কোন রাস্তা নেই। ঘরের চারিদিকে নিচু, যার কারনে একটু পানি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কোনভাবে ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের কথা বিবেচনা করে পানি নিষ্কাষণসহ রাস্তা করে দিলে খুবই উপকৃত হতাম।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহসিন মৃধা নয়া শতাব্দীকে বলেন, দুর্গাপুরের ওই গ্রামে বর্ষা এলে সকলের বাড়ির চারিদিকে পানি জমে। তবে আশ্রায়ন প্রকল্পের বাড়িগুলোর মেঝে অনেক উঁচু করা হয়েছে, সেখানে পানি ঢোকার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও আমাদের নতুন বাজেটে ওই এলাকায় রাস্তা তৈরীর জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। যাতে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা নিরসন হয়।

উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) বেলাল হোসাইন নয়া শতাব্দীকে বলেন, আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় দুর্গাপুরে ৪৬টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। আশ্রায়ন প্রকল্পের এই ঘরগুলো যাতে জলাবদ্ধতা ক্ষতি না হয় সেজন্য আমাদের নজরদারি রয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ