দূর্বাঘাসে কিংবা কচিপাতায় মুক্তার মতো আলোঝলমল ভোরের শিশির। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারদিক। পূর্ব দিগন্তে লাল সূর্যের উদয় জানান দিচ্ছে আসছে শীত।
শরতের শেষে পাতাঝরা হেমন্ত কড়া নাড়ছে প্রকৃতিতে, নামতে শুরু করেছে হাড়কাঁপানো শীত। রাজশাহীতে শীত ঋতু এসেছে উৎসবের আমেজে। এবার একটু আগেভাগেই রাজশাহীতে শীত পড়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নেমে গত তিন দিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা কম। সূর্যের দেখা মিলছে না। হুট করে এক দিনেই নেমে পড়েছে শীত। আবহাওয়ার পরিবর্তন। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্করা। ভিড় বেড়েছে শীত কাপড়ের পোশাকের দোকানে। ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশক কারিগররা।
প্রকৃতির নিয়মানুযায়ী কার্তিক মাসে শীত অনুভূত হলেও পৌষ-মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। তাই গ্রামগঞ্জে নবান্ন উৎসব ও শীতের আমেজে মেতে উঠছেন নারী-পুরুষ। এছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আগাম শীতের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কারণ করোনাভাইরাস ভীতি তো রয়েই গেছে। সর্দি-জ্বর আবারো কিছুটা বেড়েছে। তবে তা ঋতুচক্রের স্বাভাবিক নিয়ম বলে ধরা হচ্ছে। তাই লোকজন আগে থেকেই সজাগ হতে শুরু করেছে।
বাঘার শাপলা কটন মেইল ও ভাই ভাই কটন হাউসের মালিক শফি, অনিক আলী বলেন, গত বছর কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জন্য ব্যবসায়িক মন্দা কাটে। তবে এবার আশা করছি ভালো ব্যবসা হবে। ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে। বাঘা চন্ডিপুর গ্রামে দেখা গেছে, ওই গ্রামের ফাতেমা, জোসনা, ময়ফুল নামের মহিলারা বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে লেপ-তোশক তৈরিতে ও মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে ফেরি করেও লেপ-তোশক বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী শাহ আলম নয়া শতাব্দীকে জানান, এবার একটু আগেই শীত পড়েছে। তবে তিন দিন থেকে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে রাজশাহীতে। দিনে সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে না। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকছে। কয়েক দিনের মধ্যে শীত জেঁকে বসতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। ফলে গরম কাপড়ের ক্রেতা বেড়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. পার্থ মনি জানান, গত কয়েকদিন থেকে রাজশাহীতে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছেন। এতে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগী বেড়েছে। তবে এটি ঋতু পরিবর্তনের ফলে হতে পারে। করোনা সংক্রমণ বাড়েনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ