ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছেন মাগুরার কণা

প্রকাশনার সময়: ১৫ নভেম্বর ২০২১, ২০:৫৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছে মাগুরার মেয়ে মাহমুদা ইয়াসমিন কণা। এলাবামা স্টেটের ট্রয় ইউনিভার্সিটিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।

কণার বাবা ফসিয়ার রহমান ও মা শামসুন্নাহার লাকি সরকারি চাকরিজীবী এবং মাগুরার সাহিত্য, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ।

গ্লোবাল ইউগ্রেড ইক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম একটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর প্রদত্ত বৃত্তি। যা বেশ কিছু পরীক্ষা ও ধাপের মাধ্যমে বাছাই হয়ে থাকে। এরপর বিনা খরচে আমেরিকাতে এক সেমিস্টার পড়াশুনা, থাকা এবং বৃত্তি দিয়ে থাকে। যেখানে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমের দেশীয় কালচার তুলে ধরে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি।

কণার বাবা ফসিয়ার রহমান বলেন, ও ছোটবেলা থেকে লেখা পড়ায় ভালো। সে স্কুলজীবনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিত এবং পুরস্কার পেয়েছে। বর্তমানে সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছে। তার জন্য আমরা গর্ববোধ করি।

শামসুন্নাহার লাকি জানান, কণা বিইউপির (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর ২-৩ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আমেরিকা থেকে প্রাপ্ত শতভাগ স্কলারশিপে নিজের দেশের সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে থেকে। এ বছর তিন বিজয়ীর মধ্যে একমাত্র মেয়ে হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছে কণা।

মাহমুদা ইয়াসমিন কণা জানান, শৈশব থেকেই সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়েই আমার বেড়ে ওঠা। দীর্ঘদিন ধরে মাগুরার আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠবীথির সাথে যুক্ত থাকায় বাংলা সংস্কৃতির প্রতি বিশেষ আগ্রহী হয়ে পড়ি। এখান থেকেই জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সংগীত ও নৃত্য বিভাগের সাথে যুক্ত হই।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বিইউপি লিটারেচার ক্লাব এবং বিইউপি ফিল্ম ক্লাবের সাথে কাজ করছি প্রথমবর্ষ থেকেই। এ ছাড়াও জড়িত আছি মনুষ্যত্ব ও ইউনাইটেড অ্যাকশন ফাউন্ডেশনের সাথে। বাংলা সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা আমাকে এই বৃত্তির জন্য অনুপ্রাণিত করে তোলে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ