গত ১১ নভেম্বর দৈনিক নয়া শতাব্দী পত্রিকার অনলাইনে ‘শাপলা-শালুক বিক্রিতেই চলে নুরজাহানের সংসার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশে পর সেই নূরজাহান বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তমাল হোসেন।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউএনও মো. তমাল হোসেন নুরজাহানের ঠিকানা খুঁজে বের করে উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার রাতেই গুরুদাসপুর পৌর শহরের পার-গুরুদাসপুর মহল্লার শাপলা-শালুক বিক্রেতা নুরজাহানের বাড়িতে গিয়ে নগদ অর্থ ও খাবার পৌছে দেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সকল মানবিক কাজের সাথে উপজেলা প্রশাসন যুক্ত থাকবে। নুরজাহান বেগম নামের ভদ্র মহিলার মানবেতর জীবন-যাপনের সংবাদ প্রশাসনের নজনে আসলে গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখে নগদ অর্থ ও খাবার পৌছে দেয়া হয়েছে। এসময় আগামীতে তার পাশে থাকার আশ্বাসও দেন ইউএনও।
নুরজাহান বেগম জানান, ইউএনও স্যারের দেওয়া নগদ অর্থ ও খাবার পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি। আল্লাহ যেনো ইউএনও স্যারকে ভাল রাখেন। নুরজাহান বেগম আরও বলেন, ‘আমার স্বামীকে হারিয়েছি ৩৫ বছর আগে। দুই মেয়ে এক ছেলের সংসার। ছেলে বিয়ে করে পৃথক সংসার পেতেছেন। মেয়েদের বিয়ে দিলেও তারা দুজন তালাক প্রাপ্ত হয়ে আমার সংসারেই বোঝা হয়ে রয়েছে। বয়সের ভারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহের ক্ষমতা নেই। অন্যের কাছে হাত না পেতে বর্ষা মৌসুমে পাশের হাড়িভাঙ্গা বিল থেকে শাপলা-শালুক সংগ্রহ করে স্কুলের গেটে শিশুদের কাছে বিক্রি করি ২০-৩০ টাকা। অন্য সময়গুলেতে মাঠ থেকে কলমিসহ অন্যান্য শাক-সবজী সংগ্রহ করে তা স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাই।’
উল্লেখ্য, নুরজাহান বেগমের বয়স ৬৫ বছর। ৩৫ বছর আগে স্বামী আয়জুদ্দীনকে হারান তিনি। এরপর থেকেই বিল থেকে শাপলা-শালুক তুলে স্কুলের গেটে বিক্রির সামান্য আয় দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলছে বিধবা নুরজাহান বেগমের অভাবের সংসার। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) চাঁচকৈড় বাজারস্থ শিক্ষা সংঘ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটে শাপলা ফুল আর শালুক বিক্রি সংবাদ দৈনিক নয়া শতাব্দী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ