ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি

প্রকাশনার সময়: ১২ নভেম্বর ২০২১, ২০:২৮

১২ নভেম্বর, ১৯৭০-এর এই দিনটি উপকূলবাসীর কাছে একটি ভয়াবহ কালোরাত হিসেবে পরিচিত। উপকূলে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে এই ভয়াল দিনটিতে এবং অনেকে হারিয়ে ফেলে তার জীবনের অর্জিত সব স্বপ্ন। ১২ নভেম্বর, ভোলা ও নোয়াখালী সাইক্লোন দিবস। ভোলা ও নোয়াখালী উপকূলের সাথে সেইদিন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল- রামগতি, হাতিয়া, সন্দ্বীপ ও পটুয়াখালীসহ পটুয়াখালীর চরঞ্চলগুলো। তাই উপকূল সুরক্ষায় এই দিনটিকে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানায় উপকূলবাসী।

প্রলয়ঙ্কারী এই সাইক্লোনের নিহতদের স্মরনে ১২ নভেম্বর দিনটিকে ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পেতে চায় উপকূলীবাসী। কারণ এই দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমেই উপকূলে সাধিত হতে পারে উপকূল সূরক্ষার দাবি। যেমন - নদীভাঙন রোধে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা, নদী শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস করা এবং উপকূল সুরক্ষায় জিওব্যাগ, ব্লক ও ড্রেজিং ব্যবস্থা নেওয়াসহ উপকূলীয় সূরক্ষার অন্যান্য তদারকি জোরদার করা। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে ১২ নভেম্বর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা চায় উপকূলবাসীর। একইসঙ্গে নদীর গতিপ্রকৃতি, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের প্রকৃতি পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে উপকূলীয় অঞ্চলে টেঁকসই বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের দাবি।

পটুয়াখালীর চরঞ্চল রাঙ্গাবালীতে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ্ আল-ইমরান শতাব্দীর প্রতিবেদককে জানান, দাদার মুখে শুনেছিলাম ১৯৭০ সালে আমাদের এখানে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। যাতে আমাদের এলাকার অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন এবং অনেককে অর্থ সংকটে পরেছিলেন। যার কারণ হিসাবে আমার দাদা দায়ী করছে উপকূল সূরক্ষায় বাঁধ নির্মাণের অভাব, মানে উপকূল সূরক্ষার ব্যর্থতা। তাই আমি মনে করি, উপকূল সূরক্ষার জন্য বিভিন্ন দাবি উপস্থাপনের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রাপ্ত একটি দিন থাকা দরকার। এবং সেই দিন হোক উপকূল সূরক্ষায় মানুষের চাওয়া পাওয়ার জন্য একটি দিন, উপকূল দিবস।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ