বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ড, মনসাতলী লাকুরতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগের তীর সরাসরি প্রিসাইডিং অফিসার বরগুনা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি বিভাগ) সালেহ শাহিনের দিকে উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, ওই কেন্দ্রে মোট ভোট কাস্টিং হয়েছে ১৫৮৭টি। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ১০৮৮, আনারস প্রতীক পেয়েছে ১৯২ এবং ঘোড়া প্রতীক পেয়েছে ২৭৬। এসব মিলিয়ে দেখা যায় সর্বমোট ভোট কাস্টিং হয়েছে ১৫৫৬টি। বাকী ৩১টি নৌকায় সিল মারা ব্যালট পেপার অবৈধ ঘোষণা করেন প্রিজাইডিং অফিসার সালেহ শাহিন।
এ ঘটনায় ভোটারদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের প্রশ্ন ১৫৮৭টি কাস্টিং ভোটের মধ্যে অবৈধ দাবি করা সব ব্যালট পেপারগুলো নৌকার হলো কী করে? এ ছাড়া জানালার পাশে পড়ে থাকা নৌকায় সিল মারা একটি ব্যালট পেপার এলো কী করে? এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তুমুল আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাড. নাজমুল ইসলাম নাসির বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই আমার ওনাকে সন্দেহ হয়েছিল। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলাম। তবুও তারা কেনো ব্যবস্থা নেয়নি সেটি আমার বোধগম্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোট গণনার সময় ওই কেন্দ্র থেকে প্রিজাইডিং অফিসার সালেহ শাহিনের মাধ্যমে নৌকার ব্যালট পেপার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যার মধ্যে একটি ব্যালট পেপার জানালার পাশে পড়ে থাকতে দেখে সেখান থেকে উদ্ধার করি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেখালেও তারা কোনো গুরুত্ব দেননি। আমার ধারণা এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রিসাইডিং অফিসার সালেহ শাহিন বলেন, অভিযোগকারী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার কেন্দ্রে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি, এ কেন্দ্রে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের রিটানিং কর্মকর্তার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির নৌকা প্রতীক ৫৭০০ ভোট পান। স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ বারী বাদল আনারস প্রতীকেও সমানসংখ্যক ভোট পান। ফলে এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ফলাফল 'অমিমাংসিত' ঘোষণা করেন রিটানিং কর্মকর্তা।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ