নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর শহরের পার-গুরুদাসপুর মহল্লার নুরজাহান বেগমের নামের অর্থ জগতের আলো হলেও সে আলো তাঁর জীবনকে আলোকিত করতে পারেনি। অভাব আর অনটনের সাথে যুদ্ধ করেই কাটছে নুরজাহানের প্রতিটি দিন। ৬৫ বছর বয়সী নুরজাহান স্বামী আয়জুদ্দীনকে হারিয়েছেন ৩৫ বছর আগেই। বিল থেকে শাপলা-শালুক তুলে স্কুলের গেটে বিক্রির সামান্য আয় দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলছে বিধবা নুরজাহান অভাবের সংসার ।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় বাজারস্থ শিক্ষা সংঘ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটে শাপলা ফুল আর শালুক বিক্রির সময় নুরজাহান জানান, তিনি স্বামীকে হারিয়েছেন ৩৫ বছর আগে। দুই মেয়ে এক ছেলের সংসার তাঁর। ছেলে বিয়ে করে পৃথক সংসার পেতেছেন। মেয়েদের বিয়ে দিলেও তারা দুজন তালাক প্রাপ্ত হয়ে তাঁর সংসারেই বোঝা হয়ে রয়েছে।
বয়সের ভারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহের ক্ষমতা নেই তাঁর। অন্যের কাছে হাত না পেতে বর্ষা মৌসুমে পাশের হাড়িভাঙ্গা বিল থেকে শাপলা-শালুক সংগ্রহ করে স্কুলের গেটে শিশুদের কাছে বিক্রি করেন ২০-৩০ টাকা। অন্য সময়গুলেতে মাঠ থেকে কলমিসহ অন্যান্য শাক-সবজী সংগ্রহ করে তা স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রি করে চলে নুরজাহানের সংসার।
শিক্ষা সংঘ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদা বেগম জানান, মাঝে মধ্যেই বয়স্ক ওই মহিলাকে (নুরজাহান) স্কুলের গেটে ফুল ও শালুক বিক্রি করতে দেখেন তিনি। শিশু শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে তাঁর কাছ থেকে ফুল কেনেন। তাকে দেখে গরীব ও অসহায় মনে হয়েছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন জানান, তিনি নির্বাচনী দায়িত্বে উপজেলার বাইরে রয়েছেন। ফিরে খোঁজ খবর নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেন তিনি।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ