তখন সময় সকাল সাড়ে ১১ টা। সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাও ইউনিয়নের ঘোমাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লাইনে দাঁড়ানো শতাধিক নারী ভোটার। কথা বলতেই খায়রুন বেগম বলেন, ‘মেম্বার চেয়ারম্যান সব পরিচিত। (সকল প্রার্থী পরিচিত)। খালি মিনত আর মিনত (সকলে অনুরোধ করছেন)। অতারলাগি ভোট দেওয়াত আইছি (এজন্য ভোট দিতে আসলাম)। ভালাউ লাগের সব মানুষ ভোট দেওয়াত আইছইন দেখিয়ার (সকলে ভোট দিতে এসেছেন দেখে ভালো লাগছে)। ভোট অলা অইলে ভালা লাগে (ভোট এমন হলে ভালো লাগে।’
ইউপি নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণে সকলের অনুভূতিয় প্রায় সমান। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় থাকার প্রত্যাশাও সকল ভোটারের।
তবে ভোটের মাঠে নেই বিএনপি। এমন অবস্থায় অতীতের অন্যান্য নির্বাচনের মতো ইউপি নির্বাচনের ভোটেও ভোটারদের অনাগ্রহ থাকবে; এমনটা মন্তব্য ছিলো বিএনপির। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। সিলেটে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে যেন উপচেপড়া ভিড়।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকে সিলেটের ৩ উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে চলছে ভোটগ্রহণ। সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে দেখা গেছে ভোটারদের উপচেপড়া ভিড়। বিশেষত নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
মোট ১৫ ইউপির মধ্যে ১৩টিতেই আছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী। এমন অবস্থায় নিজ দলের বিদ্রোহীদের কারণে ভোটের দিন সহিংসতার শঙ্কা করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এ পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আজহারুল কবির জানান, তার কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৪২৭ জন। সকাল থেকেই প্রচুর সংখ্যক ভোটাররা উৎসবের আমেজে ভোট প্রদান করছেন।
দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ, হাটখোলা, মোগলাগাঁও ও কান্দিগাঁও ইউনিয়ন, বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর, বোয়ালজুর, দেওয়ানবাজার, পশ্চিম গৌরীপুর, বালাগঞ্জ ও পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর পূর্ব, তেলিখাল, ইছাকলস, উত্তর রনিখাই ও দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সকল জায়গাতেই এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শান্তিপুর্ন পরিবেশ বজায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
দ্বিতিয় ধাপে ১৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ৬৮ জন। সদস্য ও নারী সদস্য মিলিয়ে সর্বমোট প্রার্থী ৭৪৫ জন। আর মোট ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৪ জন। মোট ১৪৩ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহন চলছে। কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ।
এমনকি নির্বাচনে যাতে কোনোরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের ও সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ