ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সিলেটে 'প্রথম' লেডি বাইকার রিয়ার বিরুদ্ধে মাদক মামলা

প্রকাশনার সময়: ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১৪:০৪ | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১৪:০৬

নিজেকে সিলেটের প্রথম লেডি বাইকার হিসেবে দাবি করতেন রিয়া। অল্প সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল পরিচিতিও পেয়েছিলেন। কিন্তু জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা এ লেডি বাইকারের বিরুদ্ধে এবার মাদক মামলা করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। সোমবার (৮ নভেম্বর) পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে বাইকে থাকা রিয়া রায়ের ছেলেবন্ধু আরমান সামীকে আটক করে পুলিশ। এসময় পালিয়ে যান এক তরুণী। পরে সামীর তথ্যের ভিত্তিতে রিয়ার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয় এবং সামীকে গ্রেফতার দেখানো হয় বলে জানায় পুলিশ। পুলিশের ধারণা লেডি বাইকার রিয়া কৌশলে তরুণ-তরুনীদের কাছে মাদক বিক্রি করে থাকতে পারেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আরমান সামী নগরীর মিরাপাড়ার ১৪৯/বি নং বাসার শামসুল ইসলামের ছেলে আর রিয়া রায় নগরীর কুমারপাড়ার মন্দিরগলির ঝরনারপাড় ৬২/এ-এর বাসিন্দা রামু রায়ের মেয়ে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ষোলঘর এলাকায়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির জানান, রোববার রাতে আমাদের কাছে একটি গোপন তথ্য আসে নীল রঙের একটি বাইকে মাদক বহন হচ্ছে। তখন আমাদের চোখে পড়ে একটি ছেলে ও মেয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট-সংলগ্ন কয়েকটি রেস্টুরেন্টের সামনে মোটরবাইক (ঢাকা মেট্রো খ ১৪-০৫১২) নিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরছিলেন। ব্যাপারটি সন্দেহ হলে গাড়িটি থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। একটু দূরে গিয়ে থামে গাড়িটি। তখন গাড়ি থেকে এক তরুণী দ্রুত নেমে চায়ের দোকানগুলোর সামনে থাকা মানুষের সাথে মিশে যান। তাকে শনাক্ত করা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিক গাড়িটির চালকের আসনে থাকা আরমান সামীকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপর আরমান সামীই জানায়, পালিয়ে যাওয়া তরুণী রিয়া রায়। এ সময় পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করে মাম পানির বোতলে রাখা বিশেষ মদ ৫০০ মিলিগ্রাম, ইয়াবা ট্যাবলেট ১০ পিস ও দুই পুড়িয়া গাজা উদ্ধার করে। যেহেতু তাদের কাছে তিন ধরণের মাদক পাওয়া গেছে সে ক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে ওখানে আসা তরুণ-তরুণীদের কাছে তারা মাদকগুলো খুচরা বিক্রির জন্য বহন করে থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার সকালে গ্রেপ্তার হওয়া আরমান সামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার এসআই গৌতম চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে রিয়া ও আরমান সামীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামি রিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অপরদিকে এ ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য নিতে রিয়া রায়ের মোবাইলে বার বার কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ