হেমন্তের শিউলি ঝরা সকাল। হিমেল হাওয়ায় প্রকৃতিতে বইছে শীতের আমেজ। আকাশ বাতাস পূঁজো পূঁজো গন্ধে সেজে মুগ্ধতায় ভরে উঠে। মাগুরা শহরে বইছে পূজা ও কাত্যায়নী দেবীর আগমনী সুর।
কাত্যায়নী পূজা আসতে আর মাত্র কয়েকদিন। ইতিমধ্যে পূজার ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে মাগুরা শহরে। পুজা উৎযাপনের নেতারা বলছেন, এ বছর মাগুরা শহরে ১৬টি মণ্ডপে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১০ নভেম্বর মহা ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে কাত্যায়নী পূজা শুরু হবে। ১৫ নভেম্বর বিজয় দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে।
চলছে শেষ সময়ের রং তুলির কাজ। শহরের বেশকয়েকটি মন্দিরে গেট, প্যান্ডেলে রয়েছে ভিন্নতা। ইতিহাস, ঐতিত্য,সংস্কৃতির আদলে কাত্যায়নী পূজার গেট ব্যান্ডল তৈরি করা হলেও এ বছর রয়েছে বিভন্ন চিত্র।
প্রতিমা শিল্প উজ্জ্বল কুমার গুরু বলেন, ‘প্রতি বছরের মত এ বছরও মাগুরা নতুন বাজার ছানা বাবুর বটতলা কাত্যায়নী মণ্ডপে কাত্যায়নী দেবীর মুর্তি তৈরি করছি। এ বার প্রকৃত কাত্যায়নী দেবীর প্রকৃতি রূপকে তুলের ধরার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও বলেন,
মাগুরা নতুন বাজার ছানা বাবুর বটতলা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সাহা বলেন, ‘দুর্গা পূজার এক মাস পর শত বছর ধরে মাগুরায় কাত্যায়নী পূজা হয়ে আসছে। এ বছর পূজা অনুষ্টিত হবে। পূজার পর মেলা চলবে এক মাস। মাগুরা কাত্যায়নী পূজা এই জেলার একটি ঐতিহ্য। এখানে প্রতি বছর দেশ-বিদেশ থেকে হাজার মানুষ আসে পূজা দেখতে।’
মাগুরা জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কুন্ডু বলেন, ‘প্রতি বছরের মত এবার ও কাত্যায়নী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এই জেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা। এখানে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বাস করেন। পূজা কেন্দ্র শহরের এক উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।’
পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাগুরায় কাত্যায়নী পূজায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। প্রতিটা মণ্ডপে সিসিটিভি থাকবে। এছাড়া পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বী কাত্যায়নী পূজা শেষ হবে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ