এক পায়ে আর নয়। এখন থকে কৃত্রিম পা নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার মীম স্কুলে যাবে দুপায়ের উপর ভর করে পায়ে হেটে।

ভঙ্গুর স্বপ্ন নিয়েই জীবন চলার পথে একটি পায়ের ওপর ভর করে হাঁটতে হাঁটতে যখন মীম ক্লান্ত ঠিক তখনই তার স্বপ্নপূরণে পাশে দাঁড়িয়েছে ময়মনসিংহের অটিজম ও প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন সংস্থা। তাকে দেওয়া হয়েছে একটি কৃত্রিম পা। শুধু মীম নয়, অটিজম ও প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন সংস্থাটি আরও পাঁচজন প্রতিবন্ধীকে সহায়ক উপকরণ দিয়েছে। ছয়জনের মধ্যে তিনজনকে কৃত্রিম পা এবং বাকিদের হুইলচেয়ার ও ওয়াকার দেওয়া হয়।

শনিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে ময়মনসিংহ নগরীর বোরাং রেসিডেন্সিয়াল ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের মাঝে এসব বিতরণ করা হয়।

সংস্থাটির উপদেষ্টা এসএম এমরান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মো. ওয়ালিউল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের উপাধ্যক্ষ শওকত হোসেন।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী কমিউনিটি সেন্টারের প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর রাজন বিনন, সমাজসেবক আলী ইউসুফ, বাংলাদেশ স্কাউটসের ময়মনসিংহ সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, আনোয়ারা করিম, সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুমি সরকার, টিআইবি ময়মনসিংহের এরিয়া ম্যানেজার হাবিবুর রহমান, ময়মনসিংহ যুব নাগরিক সোসাইটির সভাপতি শুভ্র চক্রবর্তী, অটিজম ও প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন সংস্থার সম্পাদক মতিউর রহমান ফয়সাল।

কৃত্রিম পা পাওয়া পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার মীমের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দার শিমুলিয়া গ্রামে। প্রথম শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই একটি সড়ক দুর্ঘটনায় সে হারিয়ে ফেলে তার বাম পা। ফলে দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া সাদিয়ার অনিশ্চিত স্বপ্ন সামনে এসে দাঁড়ায়।

কৃত্রিম পা পেয়ে খুবই খুশি মীম বলেন, ‘এখন আমি এই কৃত্রিম পা লাগিয়ে সবকিছু করতে পারব, স্কুলে যেতে পারব। আমার খুব ভালো লাগছে।’

নয়া শতাব্দী/জেআই