ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
এম বালিয়াতলী ইউপি নির্বাচন

দফায় দফায় সংঘর্ষ, ৬শ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশনার সময়: ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১৮:১২

বরগুনা সদর উপজেলার এম. বালীয়াতলী ইউনিয় পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬শ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাড নাজমুল ইসলাম নাসির।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নির্বাচনী সভা শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন এম. বালীয়াতলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির। এ সময় তিনিসহ তার নেতা-কর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ বারী বাদলের নেতা-কর্মীরা। এর আগে সন্ধ্যায় নাসিরের নেতা-কর্মীদের উপর আরেক দফা হামলার অভিযোগ ওঠে বাদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

দুদফা হামলায় নৌকা প্রতীকের ১৬ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

হামলায় আহত চিকিৎসাধীন কামাল বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সাথে তার বাড়ি যাওয়ার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। অতর্কিত এ হামলায় আমরা ছোটাছুটি করতে থাকি। এ সময় বাদলের লোকেরা আমার পায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির বলেন, হামলার ঘটনায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে। সব আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারলে এম. বালীয়াতলী ইউনিয়নে সুষ্ঠ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে না।

এ বিষয়ে জানতে এম. বালীয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ বারী বাদলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.এম. তারিকুল ইমলাম বলেন, ঘটনার পরপরই ওই ইনিয়নে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বরগুনা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ